আলীকদমের লাক্যাচিং তংচঙ্গ্যাকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছিল

প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, লামা (বান্দরবান): বান্দরবানের আলীকদম আমতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী লাক্যাচিং তঞ্চঙ্গ্যা আত্মহত্যা করেননি, তাকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সাড়ে ৬ মাস পর পুলিশের তদন্তে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আটক ত্রিমথিয় ত্রিপুরা, জয়কুমার তংচঙ্গ্যা ও জন ত্রিপুরা। আদালতে এই তিনজন আসামী ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আলীকদম থানার ওসি রফিক উল্লাহ্।

১৭ পস শুক্রবার সন্ধ্যায় আলীকদম থানার পুলিশ পরিদর্শক রফিক উল্লাহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত বছর ২৫ নভেম্বর এলাকার ০১ আলীকলম ইউনিযনের ৭নং ওযার্ডের আমতলী অসূথী পাড়ায় একটি গাছের সাথে লাক্যাচিং তঞ্চঙ্গ্যা নামক প্রতিবন্ধী মহিলার লাশ গামছা দিয়ে ঝুলানো আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিলার লাশটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেয়া হয় । এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রজু করা হয়।

পরবর্তীতে মযনাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যায় যে,লাকাচিং তঞ্চঙ্গ্যাকে যৌন নির্যাতন করে হত্যা করা হযেছে। এর ভিত্তিতে লাকাচিং এর বোনের ছেলে ক্যানুমং তঞ্চঙ্গ্যা বাদী হয়ে আলীকদম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযানের ছয় মাস পর বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ত্রিমথীয় ত্রিপুরা, জয় কুমার তঞ্চঙ্গ্যা ও জন ত্রিপুরাকে আটক করা হয়।পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতেও জবানবন্দি দেন।

Read Previous

বান্দরবানে পরিত্যক্ত বোমা বিস্ফোরনে ২ সেনা নিহত, আহত ১১

Read Next

বিজ্ঞাপন: লক্ষ্মীছড়ি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি চলছে..