ইউপিডিএফ’র ডাকে দ্বিতীয় দিনের মত খাগড়াছড়িতে চলছে সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র ডাকে দ্বিতীয় দিনের মত  সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ  চলছে। কেন্দ্রীয় নেতা মিঠুন চাকমার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও পিকেটারদের উপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার এবং পরে আরো একদিন বাড়িয়ে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেয়া হয়। জেলার কোথাও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ-পিকেটার ধাওয়া, টমটম ভাংচুর ও আগুন দেয়া ঘটনা ঘটেছে। গুইমারা উপজেলায় রাস্তায় গাছে গুড়ি ফেলে অবরোধের চেষ্টা চালায়। লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সড়কে রাস্তায় মাটি খুড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। দুরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যায় নি।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের দক্ষিণ খবংপুড়িয়া এলাকায় পুলিশের সাথে  ধাওয়া-পল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে টমটম ভাংচুর ও আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অবরোধের কারণে আভ্যন্তরীন ও দুর পাল্লা সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমাদের মানিকছড়ি প্রতিনিধি মো: আলমগীর হোসেন জানান, অপ্রীতিকর ঘটনার কোনো খবর নেই। যানবাহন চলাচল নেই বললেই চলে। তবে সেনাবাহনীর টহল দিয়ে কিছু গাড়িকে নিরাপত্তা দিয়ে গন্তব্যে পৌছে দেয়। গুইমারা প্রতিনিধি শাহ আলম জানান, রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে অবোরোধের চেষ্টা করে। খাগড়াছড়ি থেকে এম.ইলিয়াস জানান, বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খর নেই। পুলিশের সাথে ধাওয়পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েয়ে পুরো শহর জুড়ে।

এদিকে রামগড় থেকে সাইফুল ইসলাম জানান, অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন খাগড়াছড়িতে আসা কয়েকশ পর্যটক। অবরোধ ঘিরে এখনো পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও সকাল থেকেই খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়ক, গুইমারার রামসু বাজার ও মানিকছড়িসহ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে ইউপিডিএফ কর্মীরা। অবরোধের ফলে আভ্যন্তরীণ সড়কে হালকা যান চলাচল করলেও জেলা শহরের সঙ্গে দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশকোচগুলো সকাল পৌনে ৯টার দিকে পুলিশি পাহাড়ায় জেলা সদরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ চলাকালে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আলী আহমেদ খান। পুলিশের পাশাপাশি জেলা জুড়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

৩ জানুয়ারি দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরের স্লুইস গেইট এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র  (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় নেতা মিঠুন চাকমা নিহত হয়েছে। ইউপিডিএফ এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করে আসছে।

Read Previous

ইউপিডিএফ’র ডাকে সড়ক অবরোধে ২য় দিনে লক্ষ্মীছড়িতে কড়াকড়ি

Read Next

বিজিবির গাড়িতে হামলা, সংঘর্ষ, রাস্তা খুড়ে ফেলা ও অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইউপিডিএফ’র অবরোধ