‘করোনা’র আতংক ছড়িয়ে মানিকছড়ির তিনটহরী কাঁচাবাজারে স্থানীয়দের দাপট

আবদুল মান্নান: বৈশ্বিক মহামারি‘করোনা ভাইরাস’ প্রতিরোধে সরকারী লকডাউনে মানিকছড়ির হাঁট-বাজারে পাইকার নেই। ফলে কৃষকদের উৎপাদিত তরকারী, গ্রীষ্মকালিন ফল-ফলাদি বাজারজাত করতে গিয়ে কৃষকরা চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। আর কৃষকদের এমন দুঃসময়ে সেখানে ভাগ বসিয়েছে স্থানীয় সংঘবদ্ধ একটি চক্র! সমতলের পাইকারদেরকে করোনা’র ভয়-ভীতি দেখিয়ে কমদামে স্থানীয়রা সিন্ডিকেট সদস্যরা কৃষকদের নিকট থেকে পণ্য কিনে তা আবার চড়া দামে পাইকাদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে।

সরেজমিন ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার প্রসিদ্ধ কাচা বাজার হিসেবে সুনাম কুড়িঁয়েছে মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী বাজার। এ বাজার পুরো উপজেলার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত তরু-তরকারী,ফল-ফলাদি,আম-কাঁঠাল,লিচু,আনারস বিক্রি করতে প্রতিদিন জমায়েত হন। আর কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সূলভমূল্যে বিক্রির উদ্দেশ্যে ৮/১০ কিলোমিটার তৃণমূল থেকে এ বাজারে সমবেত হয়। বাজার আসা কৃষিপণ্য কিনতে চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, সিলেট ও ঢাকা থেকে পাইকাররা তিনটহরী বাজার অনায়াসে এসে তরকারী ও মৌসমি ফল-ফলাদি ক্রয় করে নিয়ে যায়। এতে করে বাজার এবং এ জনপদের মালামালের কদর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

কিন্তু সম্প্রতির বৈশ্বিক মহামারি‘করোনা’ দেশ ছড়িয়ে পড়ার আতংকে সরকার হাট-বাজার ও জনপদে লকডাউন ঘোষণা করায় সমতলের ৪/৫জন ব্যতিত কোন পাইকার বাজার আসে না। আর যারা আসেন তাদেরকে স্থানীয় চক্রের সদস্যরা ‘করোনা’র আতংক ছড়িয়ে অবাধে মালমাল কিনতে বাধ্যগ্রস্ত করেন। ফলে স্থানীয়রা কমদামে কৃষকের মালামাল পণ্যকিনে তা আবার চড়াদামে পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। এভাবেই দিনের পর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাজারটি নিয়ন্ত্রণ করায় বাজারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বাজারে করলা ও কাকরল নিয়ে আসা কৃষক মো. আবদুল্লাহ বলেন, চাষাবাদ করে এখন কৃষকের লাভ নেই। মধ্যস্থভোগীরা লুটে খাচ্ছে সব! কাঁঠাল চাষী মো. কলিম উল্লাহ বলেন, বাজারে স্থানীয়দের দাপটের কারণে কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা এখন বাজার ছেড়ে গ্রামে গ্রামে এসে কাঁঠাল কিনতে চাইলেও শান্তি নেই। সেখানেও কেউ না কেউ এসে ভাগ বসাতে চায়।

তিনটহরী বাজারে স্থানীয়দের আধিপত্য সর্ম্পকে জানতে চাইলে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কারো দাপট সর্ম্পকে জোরালো অভিযোগ নেই। তবে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী সব সময় কৃষকের মাল কিনে আবার পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। এতে কারো বা কোন পক্ষের অভিযোগ পাইনি। বাজারের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্ঠা করছি।

Read Previous

খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীর ১ মিনিটের ঈদ বাজার

Read Next

খাগড়াছড়িবাসীকে জেলা পরিষদ সদস্যের এম.এ জব্বার’র ঈদ শুভেচ্ছা