খাগড়াছড়িতে জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব বরখাস্ত

স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সেই নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. সোহরাব হোসেনকে বরখাস্ত হয়েছে। খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের পাশাপাশি তাকে বান্দরাবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ৬ আগস্ট স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী মো. সোহরাব হোসেন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় আনীত অভিযোগসমূহ সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিধি ১২(১) অনুযায়ী তাঁকে চাকুির থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তবে বহিস্কারকালীন সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।’ এ বিষয়ে জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহরাব হোসেনকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। জানা যায়, ‘তিনি বর্তমানে বান্দরবান রয়েছেন।’

খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগ দিতে এসে হেনস্থার শিকার হয়েছেন নতুন পদায়নকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ মোতাবেক বুধবার খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে যোগ দিতে আসলে এই ঘটনা ঘটে। এসময় তিনি অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলের নেতৃত্বে ২০টি মোটর সাইকেল যোগে ৪০-৫০ জন লোক এসে আমাকে জোর করে বের করে দেয় এবং আমাকে নাজেহাল করে। আমি এক পর্যায়ে নিচে মসজিদের ভিতরে ঢুকে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করি।’ এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল বলেন, ‘সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত বিভাগ। চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক যোগদানপত্র গ্রহণ করা হলে তিনি যোগ দিতে পারবেন। কিন্তু জেলা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই তিনি জোর করে অফিসে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি বলে জানান তিনি।’

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রশীদ বলেন, ‘নতুন নির্বাহী কর্মকর্তার যোগদান নিয়ে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে এমন খবরে পাবলিক হেলথে আসি। পরে জানতে পারি জুয়েল ত্রিপুরার নেতৃত্বে নতুন নির্বাহী প্রকৌশলীকে অফিস না করতে হুমকি দেয়া হয়। নতুন নির্বাহী প্রকৌশলী নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের কাছে যেভাবে সহযোগিতা চাইবেন আমরা সেভাবে সহযোগিতা করব।’ জানা গেছে, সোহরাব হোসেন খাগড়াছড়িতে ১০ বছর এবং বান্দরবানে ৮ বছর ধরে রয়েছেন। একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী হয়েও তিনি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ব্যবহার করে অতিরিক্ত দায়িত্বের পদ ধরে রাখায় দুই জেলায় নির্বাহী প্রকৌশলী পদায়ন করা যাচ্ছে না বলে ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলীরা অভিযোগ করেছেন।

Read Previous

লক্ষ্মীছড়িতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা

Read Next

এবার মানিকছড়িতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত