খাগড়াছড়িতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কামাল হোসেন’র বিরুদ্ধে মামলা

এম. সাইফুর রহমান: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আইন লংঘন ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ অবজ্ঞা করে, জোর করে দায়িত্ব গ্রহনের চেষ্টার অভিযোগে সদ্য পদায়নকৃত খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: কামাল হোসেন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: জহির উদ্দিন দেওয়ানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহন করে ১১সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। যার মামলা নং সি.আর ২০৮/১৯।

রবিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি কগনিজেন্স আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মোরর্শেদুল আলমের আদালতে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের আহবায়ক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ১২০(খ)/৪১৭/১৬৬/৩৮৭/৫০৫ (খ)(গ)/৫০০/৫০৬ (২য় অংশ) ও ৩৪ দন্ডবিধির ধারায় এ মামলায় মো: কামাল হোসেন(৫০) জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: জহির উদ্দিন দেওয়ান(৫১)কে আসামী করা হয়।

মামলায় পার্থ ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আলোকে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের হস্থান্তরিত বিভাগ। জেলা পরিষদের আইন-১৯৮৯ এর ২৩(খ) ধারার অধিনস্থ এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো: সোহরাব হোসেন দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় কামাল হোসেন বদলী ও পদায়নের ফলে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ৭আগস্ট সকাল ১১টায় জেলা পরিষদের কোন যোগদান পত্র ছাড়া তিনি অফিস দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেন এতে।

মামলায় মো: কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুজব ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের আহবায়ক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় বলে উল্লেখ করেন পার্থ ত্রিপুরা।

পার্থ ত্রিপুরা জানান, আসামী গত ১১জুলাই ২০১৯ তারিখ খাগড়াছড়ি চলতি জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদায়ন ও বদলীর আদেশ বাতিলের জন্য গত ২৫ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগকে জেলা পরিষদ অনুরোধ জানান। কিন্তু জেলা পরিষদকে অবজ্ঞা করে বেআইনি ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনার অপেক্ষা না করে মো: কামাল হোসেন সন্ত্রাসী কায়দায় দায়িত্ব গ্রহনে চেষ্টা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আইন লংঘন করেছেন।

এ বিষয়ে পার্থ ত্রিপুরা বলেন, কামাল হোসেন মিথ্যা ভিত্তিহীন ও গুজব ছড়িয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। এ ঘটনায় জন্য খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সর্ব সম্মতিক্রমে আইনি পন্থায় বিচারের আওতায় আনতে এ মামলা করা হয়েছে বলে জানান।

Read Previous

এক বছরেও শেষ হয়নি খাগড়াছড়িতে ৭ হত্যাকান্ড তদন্ত কার্যক্রম

Read Next

জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা খাগড়াছড়িতে