ঠিকাদারের অবহেলায় ৩বছরেও শেষ হয় নি লক্ষ্মীছড়ি থানা কমপ্লেক্ম ভবন নির্মাণ কাজ

স্টাফ রিপোর্টার: ১৮মাসে কাজটি শেষ করার সরকারি নির্দেনা থাকার পরও বিগত ৩বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত শেষ করতে পারেনি খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি থানা কমপ্লেক্ম ভবন নির্মাণ কাজ। নানা অজুহাতে ঠিকাদার শুধু সময় ক্ষেপন করেছেন। লক্ষ্মীছড়ি থানা কমপ্লে´ ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় পুরতন জরাজীর্ণ ভবনেই পুলিশ সদস্যদের থাকাসহ অফিস কার্যক্রম চলছে নানা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে।

জানা যায়, গণপূর্ত অধিদফতরের বাস্তবায়নে ছয়তলার ভিতসহ চারতলা থানা ভবনের নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১লক্ষ ৯১হাজার ৯৮৩ টাকা। বিগত ১৬-১৭ অর্থ বছরে লক্ষ্মীছড়ি থানা কমপ্লেক্ম ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শিকদার এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয়। ১৮মাসের মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণ সমাপ্ত করে কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও প্রায় সাড়ে ৩বছর অতিবাহিত হচ্ছে কাজটি এখনো শতভাগ শেষ করতে পারে নি ঠিকাদার। ঠিকাদারের অবহেলা ও গাফিলতিকেই দায়ি করছে স্থানীয়রা।

লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা বলেন, লক্ষ্মীছড়ি থানা কমপ্লেক্ম ভবনটি নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া বিচারিককাজ সহ নানা ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। পুরাতন ভবনে পর্যাপ্ত বসার জায়গা নেই। এছাড়াও পুলিশ সদস্যরা জরাজীর্ণ ভবনে নানা কস্টে দিনযাপন করছে। কাজটি দ্রুত শেষ করারও দাবি জানান তিনি।

লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, ঠিকাদারকে একাধীকবার বলেছি কাজটি শেষ করার জন্য। করোনা পরিস্থিতিতে লক ডাউনের কথা বলে মালামাল পরিবহন করতে পারছে না বলে ঠিকাদার জানিয়েছে। তবে ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হলে পুলিশী কার্যক্রম আরো গতিশীলতা আসবে বলে তিনি মনে করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, আমি খাগড়াছড়িতে যোগদানের পর গত ৬মাসে লক্ষ্মীছড়ি থানা কমপ্লেক্ম ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ৩বার তাগাদা পত্র দিয়েছি। তিনি বলেন, ৯০ভাগ কাজ শেষে হয়েছে, বাকি কাজ শেষ করার জন্য আমাদের পক্ষ হতে যা যা করা প্রয়োজন তা অব্যাহত থাকবে।

জানা যায়, এর আগেও একাধীকবার লক্ষ্মীছড়ি থানা কমপ্লেক্ম ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য মেসার্স শিকদার এন্টারপ্রাইজকে তাগদা পত্র দেয়া হয়। লক্ষ্মীছড়ি থানা কমপ্লেক্ম ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।

Read Previous

মানিকছড়ির তিনটহরী ইউপি’র বাজেট ঘোষণা

Read Next

ফটিকছড়ি থানার ৮ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত