ফটিকছড়িতে ১৪ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা প্লাবিত

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: হালদা-ধুরুং ও সর্তা খালের বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানি ডুকেছে ফটিকছড়িতে। এতে ১৪টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে  প্রায় শতাদিক গ্রামের কয়েক লক্ষ মানুষ। বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে হালদা নদী,  ধুরুং খাল ও সর্তা খালের পানি ।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ছয়দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এবং হালদা-ধুরুং ও সর্তা খালের পানির তোড়ে ভেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে উপজেলার সুয়াবিল, সমিতিরহাট, কাঞ্চন নগর, খিরাম, ধর্মপুর, লেলাং, রোসাংগিরী, জাফত নগর,  দাঁতমারা, নারায়নহাট, ভুজপুর, নানুপুর, বখতপুর, পাইন্দং, হারুয়ালছড়ি  ইউনিয়ন, ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার প্রায় শতাদিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে কয়েক লক্ষ মানুষ। যোগাযোগ বিশ্চিহ্ন রয়েছে নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কের যান চলাচল। যুগীরহাট-আজাদী বাজার সড়ক, গহিরা-ফটিকছড়ি সড়কের লেলাং অংশেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।  সমিতিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন রশিদ জানান, হালদা নদীর আরবানিয়া সওদাগরের ঘাটা এবং হাজি পাড়ায় ভেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে  আমার ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। বেশ কিছু  বসতঘর নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে।

কাঞ্চন নগর ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন চৌধুরী কাতেব জানান, ধুরুং খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। বিশেষ করে বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গাবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় ধুরুং খালের ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্থ  প্রচুর। ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম জানান, সর্তা খালের ব্যাপক ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার ইউনিয়নের আঁধার মানিক, কুলালপাড়া, কমিটি বাজার এলাকা।
রোসাংগীরি ইউপি চেয়ারম্যান সোয়েব আল ছালেহীন বলেন, হালদার ভেড়ীবাঁধ উপছে আর তেল পারই খালের জোয়ারের পানিতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্ধী রয়েছে।

ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. ইছমাইল হোসেন বলেন, উত্তর ধুরুং বণিক পাড়া ও কুমার পাড়ার সামনে ধুরুং নদীর সংস্কার করা অংশ নদীতে তলিয়ে গিয়ে সরু হয়ে গেছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে পশ্চিম দিকে ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজ উদ দৌল্লা বলেন, হালদা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে সুয়াবিল বাঁধের পাড়, সিদ্ধাশ্রম ঘাট সহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ডুকে পড়েছে। বেশ এলাকার মানুষ পানিবন্ধী রয়েছে।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন বলেন, গত বুধবার থেকে বন্যা কবলি ও নদী ভাঙ্গণকৃত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শুষ্ক খাবার বিতরণ করেছি। জেলা প্রশাসন ৫শ মেট্রিকটন খাদ্য শষ্য বরাদ্ধ করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা করা হবে।

Read Previous

মানিকছড়িতে বৃক্ষ ও ফলদ মেলা সম্পন্ন

Read Next

সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভুয়সী অবদান রাখছেন গুইমারা রিজিয়ন