ফটিকছড়ি ছাত্রলীগের সম্মেলন ঘিরে উত্তেজনা: সংঘর্ষের আশংকা

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ১০ বছর পর ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে পুরো উপজেলা জুড়ে৤ কাউন্সিলর তালিকা নিয়ে দন্ধ, বিবাহীতদের তালিকাভুক্ত, দ্বিধা-বিভক্ত আওয়ামীলীগের সাথে সমঝোতার অভিযোগে ব্যাপক সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে৤  সম্মেলন বর্জনের ঘোষনা দিয়ে ইতি মধ্যে অনেক ছাত্রলীগকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “ফেসবুক” এ স্ট্যাটাস দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের পর আর কোন সম্মেলন হয়নি৤ এই সম্মেলনে গঠিক কমিটি নিয়ে দন্ধে ফটিকছড়িতে অনেক রক্তপাত হয়৤

র্সব শেষ ২০১৫ সালের আগষ্ট মাসে তিন মাসের সময় দিয়ে ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট্য আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটি৤ অভিযোগ রয়েছে, ২ বছর পার হলেও এই কমিটি সম্মেলন করতে পারেনি৤ নানান সময় নানান তাল বাহানা করে সময় পার করেছে৤ ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গৃহায়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন কে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে৤
এদিকে সভাপতি ও সম্পাদক পদের জন্য কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তদবির করে চলছে ডজন খানেক ছাত্রলীগ কর্মী৤ সভাপতি পদের জন্য ফটিকছড়ি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, আহবায়ক কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান তানভীর, খায়রুল আমিন সাগর, রাসেল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে জন্য আহবায়ক কমিটির সদস্য রেজাউল করিম বাবু, রায়হান রুপু, জাহেদুল আলম, মামুনুর রশিদ, ইয়াছিন আরমান, সদর উল্লাহ পারভেজ সহ বেশ কজন৤

কমিটির যুগ্ন আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন বাবলু অভিযোগ করেন, ২৬ তারিখ সম্মেলনের কথা বলা হলেও আজ ২৪ তারিখ রাত অবধি কাউন্সিলরদের ছুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি৤ আমি কাউন্সির কিনা এখনো জানিনা৤ কতিপয় নেতারা তাদের পছন্দসই কাউন্সিলর তালিকা করে সম্মেলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে৤ আমরা উদ্বতন নেতাদের অভিযোগ করেছি৤ তারা সঠিক সিদ্ধান্ত না দিলে আমরা সম্মেলন বর্জন করবো৤ অপর যুগ্ন আহবায়ক জামশেদুল আলম শিবলু অভিযোগ করে বলেন, মেয়াদ উত্তীন্ন কমিটি, আহবায়ক সহ হিংস ভাগ যুগ্ন আহবায়ক হচ্ছে বিবাহীত৤ পক্ষপাতিত্ব করে কাউন্সিলর করা এবং আহবায়ক কমিটি ফটিকছড়ির দ্বিধা-বিভক্ত আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে সমঝোতা করে ছাত্রলীগের সম্মেলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে৤ সম্মেলনে সরাসরি ভোট না করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে৤

অভিযোগ প্রসঙ্গে ফটিকছড়ি ছাত্রলীগের আহবায়ক সাহেদুল আলম সাহেদ বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ৩৬৫ জন কাউন্সিলর তালিকা প্রস্তুত করেছি৤ বিবাহীত হলেও যেসব দায়িত্বশীল ছাত্রলীগ নেতা আছে তাদের কাউন্সিলর করা হয়েছে৤ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা ও দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত হবে৤

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বখতেয়ার সাঈদ ইরান মুঠোফোন বলেন, বর্ধিত সভা করে ১৫ দিন আগে কাউন্সিলর তালিকা অনুমোদন দিয়েছি। কারো অভিযোগ থাকলে আমাকে জানাতে পারে। সমাধানের চেষ্টা করবো।

Read Previous

গুইমারা উপজেলায় আনসার-ভিডিপি সমাবেশ

Read Next

জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ পাওয়া অ্যাথলেট মহালছড়ির তানজিনা