ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের দাবি ইউপিডিএফ‘র

ডেস্ক রিপোর্ট: ইউনাইটেড ওয়ার্কাস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-এর সভাপতি ও ইউপিডিএফ নেতা সচিব চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিনয়ন চাকমা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বুধবার এক যুক্ত বিবৃতিতে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুর তালিকা চূড়ান্ত করে পুনর্বাসনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, তবে ফৌজি শাসক জিয়াউর রহমান ও স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিয়ে আসা বাঙালি সেটলারদেরকে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুর তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তাদেরকে ‘সমতলের ভূমিহীন উদ্বাস্তু’ হিসেবে উল্লেখ করে আলাদা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছেন।

নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগ সরকার গত ১০ বছর এক নাগাড়ে ক্ষমতায় থাকার পরও ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কোন পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য কড়া সমালোচনা করেন এবং বলেন তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টিকে ভোটের রাজনীতিরখেলায় পরিণত না করে অবিলম্বে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

চার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেটলারদেরকে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে নির্মীয়মান দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে সম্মানজনক পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে বলেন, তাদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অভ্যন্তরে পুনর্বাসন করা হলে তা জনগণ কখনোই মেনে নেবে না, কারণ এতে চলমান ভূমি বিরোধ ও জাতিগত সংঘাত
তীব্রতর হওয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি হবে। তারা সেটলারদের দ্বারা বেদখলকৃত জমি ফিরিয়ে দিয়ে যথাযথ ক্ষতিপূরণসহ ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও প্রকৃত অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের দাবি জানান।

Read Previous

মেঘনায় শেষ মুহূর্তে ধরা পড়ছে রুপালী ইলিশ, জেলেদের মুখে হাসি

Read Next

পরিত্যক্ত জায়গায় স্কুল ও উপাসনালয় প্রতিষ্ঠা করে কৌশলে বাঙালিদের ভূমি দখল