ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা

এস.এম আকাশ, ফটিকছড়ি: ফটিকছড়ির ভূজপুর থানার ওসি শেখ আবদুল্লাসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যার দায়ে চট্টগ্রাম চীপ জুড়িশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। গত ২৪ মে রাতে ভুজপুর থানা এলাকায় নিহত প্রবাসীর স্ত্রী শারমিন আক্তার মামলাটি দাযের করেন।
বুধবার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার কৌশিক আহমেদের আদালতে মামলাটি আমলে নিয়ে হাটহাজারী সার্কেল অফিসারকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানিযেছেন বাদীর আিনজিবী। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন ভূজপুর থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, এসআই রাশেদুল হাসান, এসআই প্রবীণ দেব, এএসআই কল্পরঞ্জন চাকমা এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা আবদুল মান্নান ওরফে কসাই মন্নান।
হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না। স্থানীয় কসাই মান্নান আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে পুলিশে হাতে তুলে দেয়। পুলিশ আমার স্বামীকে রাতে মেরে ফেলেছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
মামলার বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, ‘ভূজপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেটি শুনেছি। তবে এখনও আমার হাতে কোনো কাগজপত্র আসেনি। তবে এর আগে আদালত থেকে স্থানীয় থানায় কোনো ইউডি মামলা হয়েছে কিনা সেটি জানতে চেয়েছে আদালত। সেটির প্রতিবেদন হাটহাজারী সার্কেল থেকে জমা দেওয়া হয়েছে।’ বাদি পক্ষের আইনজীবী জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আমি মামলাটি ফাইল করার সময় ছিলাম। আমরা মামলাটি তদন্তের জন্য র‌্যাবকে দেওয়ার আবেদন করেছি। তখন আদালত বলেছেন বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত শেষে র‌্যাবকে দেবো।’
অভিযোগ বিষয়ে ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, ‘চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে থানা পুলিশের একটি দল আঁধারমানিকের গলাচিপা এলাকায় গেলে প্রধান আসামি হেলাল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তবে আদালতে মামলা হওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

Read Previous

ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক গ্রুপের চাঁদা আদায়কারী আটক পানছড়িতে

Read Next

মহালছড়িতে বোনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ ও জায়গা দখলের অভিযোগ