মাইজভাণ্ডার শরীফে বদর দিবসের আলোচনা ও ইফতার মাহফিল

মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন ও আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি রাহবারে শরীয়ত ও ত্বরীকত হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল্-মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ.) বলেছেন, ইসলামের ইতিহাসে সত্য ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে বদরের যুদ্ধ আমাদের নিকট অতি মর্যাদাবান। বদরের যুদ্ধে রোজাদার মুসলিম মুজাহিদদের বীরত্ব ও ত্যাগ তিতিক্ষার ফলে ইসলামের বিজয় সূচিত হয়। প্রিয় নবী (দ.) মাত্র ৩১৩ জন নিরস্ত্র বীর মুজাহিদদের সঙ্গে নিয়ে অস্ত্রে সস্ত্রে সুসজ্জিত সহস্রাধিক শত্র“র বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বদর প্রান্তরে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে ইসলামের প্রথম বিজয় সূচিত করেন। এ যুদ্ধ ১৭ রমজান মহান আল্লাহর নির্দেশে ও সাহায্যে সংঘটিত হয়েছিল। তিনি বলেন, ধৈর্য্য ও ত্যাগের মাধ্যমে আত্মিক উৎকর্ষ এবং নৈতিক বোধ জাগ্রত করাই বদর দিবসের আসল শিক্ষা। হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) আরো বলেন, দেশের বিরাট জনগোষ্ঠির দারিদ্রতা দূর ও অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে সঠিক নিয়মে যাকাত আদায় করে তা গরীবের মাঝে সুষ্ঠু বণ্টন করতে হবে। গরীবের প্রাপ্য অধিকার যাকাত নিয়ে ধনীদের আত্ম অহংকার বন্ধ করতে হলে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সঠিক নিয়মে যাকাত আদায়ে সম্পদ পবিত্র ও বৃদ্ধি পায়। আর লোক দেখানো যাকাত আদায়ে আল্লাহর নির্দেশনা ও গরীবের অধিকার লঙ্গিত হয়। তাই, ইহ ও পরকালীন মুক্তির জন্য আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী যাকাত আদায় করতে হবে। ২৩ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার উদ্যোগে পবিত্র বদর দিবস ও শায়খুল ইসলাম হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.)’র চন্দ্র বার্ষিকী ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, শাহজাদা সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী। মাহফিলে হযরত মাওলানা বাকের আনসারী সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, ফটিকছড়ি জামেউল উলুম ডিগ্রী মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হযরত আল্লামা তৈয়ব খান আল্-কাদেরী, মাইজভাণ্ডার শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো: বশিরুল আলম আল্-কাদেরী, হযরত মাওলানা নূরুল ইসলাম ফোরকানী, এইচ এম মঞ্জুরুল আনোয়ার চৌধুরী, মাওলানা নঈম উদ্দিন, হাফেজ মো: আব্দুল নবী, হাফেজ মো: জয়নাল আবেদীন, মাওলানা কাজী আজিজুল হক, মাওলানা মোর্শেদুল আলম আল্-কাদেরী, আন্জুমান কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আলহাজ্ব কবির চৌধুরী প্রমুখ। পরে সর্ব মানবতার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)। বার্তা প্রেরক(শাহ্ মুহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া) কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া।

Read Previous

মাহে রমজানের সওগাত-১৮

Read Next

মাহে রমজানের সওগাত-১৯