মাটিরাঙ্গায় বছর পার হলেও সেতু নির্মাণে কোনো অগ্রগতি নেই

মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় সেতুর অভাবে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন তপ্তমাষ্টার পাড়াসহ আশে পাশের প্রায় ১০ গ্রামের সাধারণ মানুষ। এই পাহাড়ী জনপদের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল তপ্তমাষ্টার পাড়া জীপেবল সেতু। কিন্তু প্রকৃতির নির্মম পরিহাসে বর্ষার প্রবল বর্ষণের প্রভাবে উজান থেকে ধেঁয়ে আসা পানির চাপে সেতুটি ভেঙ্গে যায় ২০১৮ সালের জুন মাসে।

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা ও সংস্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে সেতুটি পুন: নির্মাণের আশ্বাসও দিয়েছেন। এখন এলাকার শিক্ষার্থী ও দুর্ভোগের শিকার সাধারন মানুষ প্রশাসনিক আশ্বাসের দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চায়। তারা চলমান জনদূর্ভোগ লাঘবে সরকারের ফলপ্রসু পদক্ষেপ গ্রহনের প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছেন প্রতিদিন।

মাটিরাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরন জয় ত্রিপুরা বলেন, সেতুটি পুণঃনির্মাণ করা অত্যান্ত জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়। তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করে সেতুটি নির্মানে সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

২০৬নং দলদলি মৌজার হেডম্যান দ্বীন মোহন ত্রিপুরা এ বিষয়ে জানান, সেতুর অভাবে শিক্ষার্থীসহ গ্রামের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের অন্তনেই। বর্ষা মৌসুমে অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের কাঁধে করে হাসপাতালে নিতে হয়। বর্ষায় শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া-আসা বন্ধ হয়ে যায়। দূর্ঘটনার আতংক নিয়ে পারাপার হচ্ছে গ্রামবাসীর উদ্যোগে তৈরিকৃত সাকো দিয়ে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তাই বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার পুর্বেই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, গত বছর আমি ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটির অবস্থা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম । তখন আমার দপ্তর থেকে সেতুটি নির্মাণের প্রয়োজনীতা সম্পর্কে জেলা পরিষদসহ সংস্লিষ্ট দপ্তরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। শুনেছি জেলা পরিষদ থেকে সেতুটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে, তবে কবে নাগাদ তা বাস্তবায়ন করা হবে আমার জানা নেই।

Read Previous

পাহাড়ের সেরা মায়েরা

Read Next

গুইমারাতে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক’র যাত্রা শুরু