মানিকছড়িতে ডেঙ্গু আতংক: চিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে প্রশাসন

আবদুল মান্নান: রাজধানী ঢাকা ছেড়ে ডেঙ্গু এখন তৃণমূলে। গত এক সপ্তাহে ৩জন আক্রান্ত হওয়ার খবরে জনপদে ডেঙ্গু আতংক ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা সরকারী হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তের কীট না থাকায় স্থানীয় ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষায় রোগীর চাপ বাড়ছে। ফলে উপজেলা প্রশাসন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নজরদারী বাড়িয়েছে। ১১ আগস্ট বিকালে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর ভ্রাম্যমান আদালত ‘জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে’ লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলায় পর পর ৩জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয় স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এ খবর দ্রুত জনপদে ছড়িয়ে পড়ায় সর্বত্র ডেঙ্গু আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে চিকিৎসকরা যে কোন জ্বরের রোগী চিকিৎসা নিতে আসলেই তাকে ডেঙ্গু, আইসিটি,সিবিসি পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। উপজেলা হাসপাতালে এসব পরীক্ষায় সুযোগ না পেয়ে রোগীরা স্থানীয় ক্লিনিকে ভীড় জমায়। বেসরকারি ক্লিনিকে উক্ত তিনটি পরীক্ষায় কমপক্ষে ১৫শত থেকে ১৮শত টাকা ব্যয় নির্ধারণ হওয়ায় সাধারণ রোগীরা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে গেলে ১১ আগস্ট বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) রুবাইয়া আফরোজ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় ক্লিনিকে আসেন।

এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন খীসা উপস্থিত ছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া আফরোজ ক্লিনিক‘ জনসেবা ডায়াগনস্টি সেন্টারের রেজিস্টার, লাইসেন্স, এক্স-রে রুম ঘুরে দেখেন। এতে কিছু ত্রুটি পরীলক্ষিত হওয়ায় এবং লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় দ্রুত সময়ে তা নবায়ন করার শর্তে দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে রক্ত পরীক্ষায় পৃথক পৃথক ভাবে মূল্য নির্ধারণ করতে আদেশ প্রদান করেন।

Read Previous

মহালছড়িতে “আলোর ফেরিওয়ালা” সংগঠনের ঈদবস্ত্র বিতরণ

Read Next

সারা দেশে ডেঙ্গু রোগী ৯হাজার, খাগড়াছড়িতে ৬০জন