মানিকছড়ির রাস্তা-ঘাট-সেতু কালর্ভাট নির্মাণে জনপদে আশার আলো

আবদুল মান্নান: মানিকছড়িতে গত এক দশকে (২০০৯-২০১৯)দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে উপজেলার তৃণমূলে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ,সংস্কার, পূনঃনির্মাণ ও সেতু/কালর্ভাট নির্মাণের ফলে বর্ণিল হাওয়া লেগেছে অবহেলিত অঞ্চলে। দূর্গম জনপদে উন্নয়নে ছোঁয়ায় আশার আলো দেখছেন গ্রামীণ জনগোষ্টি।

সরজমিনে দেখা গেছে, ১৬৮.৩৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ঠ উপজেলায় ১১টি মৌজা ও ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। আর জনসংখ্যা ৬১ হাজার ৫শত ৮৯ জন (প্রায়)। এ জনপদে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় উপজেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সমন্বয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন(পিআইও)অফিস এর তদারকিতে উন্নয়ন কর্মযঞ্জ চলছে। উপজেলার প্রত্যন্তাঞ্চলে গত এক দশকে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট নির্মাণ,সংস্কার, পূনঃনির্মাণ ও সেতু/কালর্ভাট নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বরাদ্দ করেছে সংস্থাটি। ফলে দূর্গম জনপদ এখন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বহুদূর এগিয়ে গেছে। প্রত্যন্তাঞ্চলের কোন কৃষক তার উৎপাদিত ফসল কিংবা ঘরের মূমূর্ষরোগী নিয়ে মাইলের পর মাইল রাস্তা হাঁটতে হয় না। সহজে মোটর সাইকেল, জীপগাড়ীতে উপজেলার হাঁট-বাজার, হাসপাতালে আসা-যাওয়া সহজতর হয়েছে। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামের সংযোগে সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে সেতু/কালভার্ট।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ২০০৯-২০১৯ অর্থবছরে উপজেলায় কাবিটা’র কর্মসূচি’র অর্থায়নে ২ শত ৩৬ প্রকল্পে রাস্তা সংস্কার(মাটির কাজ) হয়েছে ২ শত ৭৫ (প্রায়) কিলোমিটার। টি.আর কর্মসূচী’র ১ হাজার ১০টি প্রকল্পে ৬ শত ৪৪ (প্রায়) কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার (মাটির কাজ) করা হয়েছে। ইজিপিপি কর্মসূচী’র অর্থায়নে ২ শত ৬৪টি প্রকল্পে ১ শত ৪০ কিলোমিটার রাস্তায় মাটির কাজ, এইচবিবি কর্মসূচী’র অর্থায়নে ৭ কিলোমিটার রাস্তা সলিংকরণ। সেতু/ কালর্ভাট নির্মাণ প্রকল্পে ৫০টি সেতু/ কালর্ভাট নির্মাণ এবং কাবিটা ও টি.আর সোলার কর্মসূচীতে ৭৯টি সোলার স্ট্রীট লাইট ও ৫শত ৮৫টি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে জনপদের দৃশ্যপট সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে।

উপজেলার গ্রামীণ জনপদগুলোর দিকে এক নজরে তাকালে দু’পায়ে হাঁটার রাস্তা নেই বললেই চলে। সব কয়টিতে সংস্কার(মাটির কাজ), নির্মাণ ও পূনঃ নির্মাণের ছোঁয়া চোখে ভাসছে। গ্রামের ছোট ছোট ছড়া/ খালের উপর নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দিত সেতু,কালর্ভাট ও ব্রীজ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দীন জানান, বিগত ১০ বছরে উপজেলার সর্বত্র জনগণের চাহিদানুযায়ী জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে উন্নয়ন কাজ-কর্ম হয়েছে এবং চলমান রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার দেশ ও জনগনের উন্নয়নে বিশ্বাসী। গত এক দশকে এখানকার সদর টু- প্রত্যন্তাঞ্চল সর্বত্রই উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দিতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

Read Previous

রামগড়ে বারুণী মেলায় লোকসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি

Read Next

প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ অভিযোগে খাগড়াছড়িতে আটক ১