মূর্তি ভাংচুর ঘটনায় ভিক্ষু সংঘের সাথে প্রশাসনের মত বিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার: গত ২২অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাত খাগড়াছড়ি’র গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের দূর্গম কুকিছড়া এলাকায় পরিত্যাক্ত সেনা ক্যাম্পের সরকারী খাস জমিতে নির্মিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উপাসনালয় জেতবন বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ মুর্তি ভাংচুরের ঘটনার একদিন পর বুধবার দুপুরে উপজেলার চাইন্দামুনি বৌদ্ধ বিহারে এলাকাবাসী ও ভিক্ষু সংঘের মতবিনিময় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।

প্রবারণা পূর্নিমা উপলক্ষে আয়োজিত এ মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, গুইমারা সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার একেএম সাজেদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ আহমার উজ্জামান, মাটিরাঙ্গা জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল নওরোজ, সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব, জেলা পরিষদ সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী, গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ বড়ুয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা, খাগড়াছড়ি বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের সভাপতি বাসন্তী চাকমা, হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী প্রমুখ।

এসময় উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাগণ এলাকাবাসী ও ভিক্ষুসংঘদের কথা শুনেন এবং তাদের দাবী অনুযায়ী আগামী দুই এক মাসের মধ্যে নতুন করে বিহার নির্মাণ ও বুদ্ধ মুর্তি স্থাপন সহ দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আশ^াস দেন। বুদ্ধ ধর্মগুরুদের মধ্যে দেয়ানপাড়া মিশন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সংজ্ঞ রতœ মহাথের, জ্যোতিসারা ভান্তে, কুকিছড়া পালিতুল সুরক্ষিত বৌদ্ধ বিহারের প্রধান আগাচারা ভিক্ষু, নাক্রাইপাড়া বৌদ্ধা বিহারের প্রধান ক্ষেমাছাড়া ভিক্ষু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে চাইন্দামুনি বৌদ্ধবিহার এলাকায় সভা চলাকালে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফের ব্যানারে গুইমারা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে শত শত নারী ও পুরুষ। এসময় বৌদ্ধ বিহার থেকে এসে ভিক্ষুসংঘ, প্রশাসনের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের শান্ত করেন।

উল্লেখ্য, গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নে গত সোমবার দিবাগত রাতে বৌদ্ধ মন্দির ও মুর্তি ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর এলাকা জুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরাপত্তাবাহিনীকে নিয়ে অপপ্রচার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যৌথ বাহিনীর বিশেষ টহল জোরদার করা হয়েছে।

Read Previous

মূর্তি ভাংচুরের প্রতিবাদে মহালছড়িতে মানববন্ধন

Read Next

বিহার নির্মাণ ও বুদ্ধ মূর্তি স্থাপনের আশ্বাস প্রশাসনের