রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নির্বাচন ও সভা-সমাবেশের খবর

শান্তি রঞ্জন চাকমা, রাঙ্গুনিয় : মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড রাঙ্গুনিয়া মহিলা শাখার উদ্যোগে গতকাল বার্ষিক বনভোজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড (ডি. এমডি) উন্নয়ন এ. কে, এম রফিকুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড ডিভিশনাল কো: অর্ডিনেটর নাজমা আকতার, আর. সি ও ইনচার্জ (নাসিরাবাদ নর্থ মহিলা জোন) আকতার বেগম, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি সাংবাদিক নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া লিচুবাগান মহিলা শাখার অফিস ইনচার্জ রতœা বনিক, ডাক্তার সাধন দাশ, লিচুবাগান অফিস নিয়ন্ত্রক জয়শ্রী দাশ, বেতার ও টেলিভিশন শিল্প উর্মি বনিক। কাপ্তাই প্যানেরমা জুম রেস্তোরায় বার্ষিক বনভোজন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

চন্দ্রঘোনায় নির্বাচনী জনসভায় ড. হাছান মাহমুদ
উন্নয়নের দিক থেকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনে রাঙ্গুনিয়াবাসীকে কথা দিয়ে ছিলাম দল ক্ষমতায় গেলে উন্নয়ন করবো। নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত ১০ বছরে রাঙ্গুনিয়ায় তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন সম্পন্ন করেছি। আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করলে রাঙ্গুনিয়ায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে। প্রতিশ্রুতির বাইরে রাঙ্গুনিয়ায় অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার কোথাও অনুন্নত থাকবে না। আওয়ামীলীগের এবারের শ্লোগান আমার গ্রাম, আমার শহর। প্রত্যেকটি গ্রামকে সুযোগ সুবিধা দিয়ে শহরে রূপান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে রাঙ্গুনিয়ার গ্রামের মানুষ শহরের সুবিধা পাচ্ছে। রাঙ্গুনিয়ায় নৌকার মার্কায় বেশী ভোট দিলে বেশী উন্নয়ন হবে। বিগত দশ বছরে উন্ননের দিক থেকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। কর্ণফুলী নদী ভাঙ্গনরোধে ১০০ কোটি টাকার ব্লক বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার কর্ণফুলী, ইছামতি ও শিলক খাল ভাঙ্গনরোধে ৪০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে চন্দ্রঘোনা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী জনসভায় (চট্টগ্রাম-৭) নৌকার মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথাগুলো বলেন। লিচুবাগান বাসষ্ঠেশন চত্বরে চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচনী জনসভায় সভাপত্বি করেন চন্দ্রঘোনা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মোনাফ সিকদার। চন্দ্রঘোনা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জালাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ কল্যাণ ট্টাষ্ট্রের সাবেক ভাইচ প্রসিডেন্ট স্বজন কুমার তালুকদার, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা সাদেকুর নুর সিকদার, আবুদাবী বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল, সামজ সেবক আবু জাফর, ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিএমএ সদস্য ডাক্তার মোহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ্, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা মোর্শেদ মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী, মো. আবু মনসুর, চন্দ্রঘোনা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ হারুন, আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, কবির আহমদ মেম্বার, মোহাম্মদ ফোরকান, চন্দ্রঘোনা কৃষকলীগের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র দে, সাধারন সম্পাদক আবদুল হক মেম্বার, চন্দ্রঘোনা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আবু জাফর মাসুদ, উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শিমুল গুপ্ত, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন বাবলু, শফিকুল ইসলাম, শাহিন প্রমুখ। ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, দশ বছর রাঙ্গুনিয়ার আপামর জনগনের জন্য আমার দরজা খোলা ছিল, আশাকরি আপনাদের কাছে পাবো। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় একটি একটি ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।

(চট্টগ্রাম-৭)
রাঙ্গুনিয়ায় ১০ বছরে তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের
ফসল তুলতে চায় আওয়ামীলীগ
আসন্ন জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী শ্রীপুর-খরনদীপ ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (নৌকা) প্রতীকে নির্বাচন করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উন্নয়নের বার্তা নিয়ে প্রচার-প্রচারণা, পথসভা, উঠোন বৈঠক, লিফলেট বিতরণসহ গনসংযোগে এগিয়ে আছে আওয়ামীলীগ। গত ১০ বছরে উন্নয়নের ফসল হিসেবে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করতে চাই দলটি। ড. হাছান মাহমুদ দুই মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর রাঙ্গুনিয়ায় তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন সম্পন্ন করেছেন। উপজেলার এমন কোন গ্রাম-পাড়া মহল্লা নেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা এমরুল করিম রাশেদ বলেন, ২০০৮ সাল পরবর্তী ১০ বছরে রাঙ্গুনিয়া চট্টগ্রামের অন্যতম উন্নত উপজেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে রাঙ্গনিয়া দেশের অন্যতম উন্নত মডেল উপজেলা হবে। রাঙ্গুনিয়াকে বাংলাদেশের একটি মডেল উপজেলায় রূপ দিতে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। দেশের অন্যতম স্বনির্ভর এই উপজেলার উন্নয়ন ও মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ডক্টর হাছান মাহামুদ সু-পরিকল্পনা গ্রহন করেন। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হচ্ছে, রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নে সরকারী-বেসরকারী খাতের উন্নয়নে সহায়তা করা, জনগণের চাহিদা মোতাবেক বহুমুখী বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরী করা যেন গ্রামবাসীর জীবন মান উন্নয়ন ঘটে। এতে গ্রামাঞ্চলের জল নিষ্কাশন, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, পরিবহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়সমূহ প্রাধান্য পাবে। উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন সম্পাদক মনোহর আলী তালুকদার বলেন, রাঙ্গুনিয়া স্বনামধন্য উপজেলায় অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। এই উপজেলায় দেশের বিখ্যাত স্বনামধন্য ব্যাক্তির মধ্যে ডক্টর হাছান মাহমুদ অন্যতম। তিনি দেশ ও জাতির একনিষ্ট সেবক ও জনদরদী। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দেশ ও জাতির গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে অত্র এলাকার মানুষকে ধন্য করেছেন। দীর্ঘদিন রাঙ্গুনিয়াকে বর্গীরা শাসন করলেও কোন উন্নয়ন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে রাঙ্গুনিয়ার নেতৃত্ব বহিরাগতদের কাছে থাকায় উন্নয়ন ছিল কেবল প্রতিশ্রুতিতে সীমাবদ্ধ। রাঙ্গুনিয়ার সন্তান ডক্টর হাছান মাহমুদ এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উপজেলা জুড়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় এলাকার চিত্র পাল্টে গেছে। গ্রাম এখন মিনি শহরে পরিণত হয়েছে। চন্দ্রঘোনা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে সাকা চৌধুরীকে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন ডক্টর হাছান মাহমুদ। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে হোছনাবাদ ইউনিয়নে শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড পার্ক, পদুয়ার খুরুশিয়ায় ইকো পার্ক, কারিগরি মহাবিদ্যালয়, কর্ণফুলী জুটমিল চালু, ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, দুটি আইটি সেন্টার নির্মাণ, দুই হাজারের বেশী শিক্ষিত বেকারের চাকরি প্রদান, শিলকখালের উপর রাজারহাট ব্রিজ, শিলফলিয়া ব্রিজ, কুরকুরমাই ব্রিজ, ডংখাল ব্রিজ, খুরুশিয়া আবদুল হামিদ ব্রিজ, শ্রীপুর ক্ষরণদ্বীপ ব্রিজ, ইছামতি নদীর ওপর বগাবিলি ব্রিজ, সরফভাটা-শিলক সংযোগ ব্রিজ নির্মাণ, মরিয়মনগর ডিসি সড়ক, কালিন্দারানী সড়ক, সেগুনবাগিচা-হোছনাবাদ সড়ক, হাজি সৈয়দ আলী সড়ক, রাজারহাট সড়ক, ধামাইরহাট সড়ক, পারুয়া ডিসি সড়ক নির্মাণ কাজ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়। হোছনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, গত ১০ বছরে নিশ্চিন্তাপুর গ্রামে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ডক্টর হাছান মাহমুদ এম.পির নেতৃত্বে পশ্চাদপদ নিশ্চিন্তাপুর গ্রামকে মিনি শহরে পরিণত করা হয়েছে। এ ছাড়া জোট সরকারের বন্ধ করে দেওয়া রাঙ্গুনিয়া ইপিজেড ফের চালু, পদুয়া রাবার ড্যাম, পারুয়া-হোছনাবাদ-লালানগর-দক্ষিণ রাজানগর-ইসলামপুর ইউনিয়নের কৃষকদের চাষাবাদের সুবিধার জন্য দু’টি রাবার ড্যাম স্থাপন, দুস্থদের মাঝে রিকশা বিতরণ, পাওয়ার টিলার, কম্পিউটার, সেলাইমেশিন বিতরণ, ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা ভবন নির্মাণ, নির্বাচনী সার্ভার স্টেশন নির্মাণ, ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন গেজ স্কিম নির্মাণ, নদীভাঙন রোধ, বাঁধ মেরামত, নালা সংস্কার ও সেচ কাজ সম্পন্ন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় সড়ক, ব্রিজ, ঘাট, ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইউপি ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বন বিভাগের ১৩২ কিলোমিটার সড়ক বনায়নসহ নানা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন, মসজিদ, গভীর নলকূপ, গভীর নলকূপ ও এতিমখানা ভবন নির্মাণ হয়েছে।

Read Previous

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট‘র সংবাদ সম্মেলন স্থগিত প্রসংগে

Read Next

দুবৃর্ত্তের আগুনে পুড়লো মানিকছড়ি আওয়ামীলীগ’র নির্বাচনী ক্যাম্প