স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি চাল ভোগ করছেন অন্যজন। গত ৭মাস পর এ অনিয়ম ওঠ
স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি চাল ভোগ করছেন অন্যজন। গত ৭মাস পর এ অনিয়ম ওঠে এলো যখন প্রশাসন থেকে বলা হলো একজনের চাল অন্য কেউ তুলতে পারবে না।
জানা যায়, ১০টাকা মূল্যে ৩০ কেজি চাল ক্রয় করার প্রকৃত সুবিধাভোগী ফাতেমা আক্তার জানেনেই না তার নামে কার্ড ইস্যু করা আছে। এমন ঘটনা ঘটেছে দুল্যাতলী ইউনিয়নে ৫নং মগাইছড়ি ওয়ার্ডে।
ফাতেমা আক্তার, পিতা মতিন হাওলাদার ৫নং ওয়ার্ড মগাইছড়ি, দুল্যাতলী। কার্ড নাম্বার ১১১/২০১৯। কার্ডটি ইস্যু করা হয় ১০/০৩/২০১৯ইং তারিখে। স্বাক্ষর রয়েছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আদুই রঞ্জন তংচঙ্গার।
ইস্যু করা কার্ডে উল্লেখ রয়েছে ১৭/৩/২০২০৯ইং তারিখে প্রথম মাসের ৩০ কেজি চাল উত্তোলনসহ ৯/৪/২০২০ইং পর্যন্ত ৭বার টিপসই দিয়ে প্রতিবারই ৩০কেজি হারে চাল উত্তোলন করেছেন মগাইছড়ি এলাকার প্রদীপ চাকমার স্ত্রী শান্তিলতা চাকমা। কার্ডে নাম ফাতেমা আক্তার লিখা থাকলেও ছবি লাগানো ছিলো শান্তি লতা চাকমার। কার্ডটি হাতে পাওয়ার পর ফাতেমা আক্তার ১৭মে ১০টাকা মূল্যে ৩০ কেজি চাল উত্তোলন করেন ডিলার আবুল হাসেম চৌধুরীর কাছ থেকে।
কিভাবে কার্ডটির খোঁজ মিললো এমন প্রশ্ন করা হলে ফাতেমা আক্তারের পিতা মতিন হাওলাদার বলেন, গত পরশু দিন(শুক্রবার) মগাইছড়ি এলাকার আব্বাসের বাড়ি থেকে কার্ডটি উদ্ধার করা হয়। কার্ডের মধ্যে শান্তিলতা চাকমা নামে এক উপজাতীয় নারীর ছবি লাগানো ছিলো। ছবিটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আ: মালেক খুলে রেখেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো: হাফিজ উদ্দিন বলেন, এটা জঘন্যতম অন্যায় এই জালিয়াতির বিচার চাই।
৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রহিম বলেন, ফাতেমা আক্তারের নামে কার্ড ইস্যু সঠিক ছিলো। সে নিবে না আপুত্তি করায় সংশোধনী দিয়ে খাদ্য কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হলেও নাম পরিবর্তন করা হয় নি। এর বেশি আমি আর কিছুই বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে ডিলার আবুল হাসেম চৌধুরী বলেন, যে কেউ কার্ড নিয়ে আসলে আমরা চাল দিয়ে দেই। চাল বিতরণের ব্যস্ততার মধ্যে সঠিকভাবে নাম ও ছবি দেখার সময় থাকে না বলে জানান তিনি।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং তদারকি কর্মকর্তা টিটু দাশ বলেন, কার্ডটি যখন ইস্যু হয় তখন ছবি ঠিক ছিলো পরে হয়ত বদলানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল এ বিষয়ে বলেন, আমার কাছে এখনো এমন অভিযোগ আসে নি। যদি অভিযোগ পাই তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবো।