সড়ক অবরোধ সফল -ইউপিডিএফ, কাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনায় নব্য মুখোশ বাহিনী সন্ত্রাসীদের দিয়ে ইউপিডিএফ-এর অন্যতম সংগঠক মিঠুন চাকমাকে হত্যা, তাঁর মরদেহ দলীয় অফিসে এনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনে বাধাদানের প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার (৬ জানুয়ারি) ও রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুই দিন ব্যাপী খাগড়াছড়ি জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্বতঃস্ফুর্ত ও সফলভাবে পালিত হয়েছে। দাবি ইউপিডিএফ-এর। ইউপিডিএফ প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেয়া এক প্রেসবার্তায় এ দাবি করা হয়।  প্রেসবার্তায় উল্লেখ করা হয় দুই দিনের অবরোধে জেলা সদর ও উপজেলাগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। দূর পাল্লার কোন যানবাহনও চলাচল করেনি।

অবরোধের শুরু থেকে শহরজুড়ে সেনা-পুলিশ-বিজিবি’র নজিরবিহীন টহল ছিল।প্রথম দিন পুলিশ খাগড়াছড়ি সদরের চেঙ্গী ব্রীজ এলাকায় পিকেটারদের উপর হামলা ও বাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ৩-৪ জন পিকেটার আহত হয়। একই দিন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গাছবান এলাকায় সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পিকেটারদের ধাওয়া করে। এরপর অবরোধ আরো একদিন বাড়িয়ে রবিবার (৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। দ্বিতীয় দিনের অবরোধে এক নিরীহ পথচারীকে আটক ও সেনা-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছাড়া বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জনগণ স্বতঃস্ফুর্তভাবে অবরোধ কর্মসূচিতে সহযোগিতা দেয়।

দুই দিনের অবরোধ শেষে আজ রবিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক সচিব চাকমা অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে সহযোগিতা করায় জেলার সকল যানবাহন মালিক সমিতি, চালক, শ্রমিক সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মিঠুন চাকমার দাহক্রিয়া ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা হাজার হাজার জনতাকে বাধা দেয়ার মাধ্যমেই তাঁকে হত্যার সাথে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন জড়িত তা স্পষ্ট হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়িত-নির্যাতিত জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে সেনা সৃষ্ট নব্য মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে ইউপিডিএফ-এর নেতা-কর্মীদেরপরিকল্পিতভাবে বেছেবেছে হত্যা করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, এদেশের শাসকগোষ্ঠী পাহাড়ি জনগণকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার লক্ষ্যে নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হত্যা, নির্যাতনের মাধমে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে মেধাশূণ্য করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। পাকিস্তান এ দেশের সূর্য্য সন্তান বুদ্ধিজীবিদের খুন করে দেশের মহান স্বাধীনতাকামী জনতাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকেও দমিয়ে রাখা যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি শাসকগোষ্ঠীর সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে মিঠুন চাকমার হত্যাকারীদের গ্রেফতারপুর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কর্মসূচি:
মিঠুন চাকমা হত্যার প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা দেবে ইউপিডিএফ। আগামীকাল সোমবার (৮ জানুয়ারি ২০১৮) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ির স্বনির্ভরস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে জেলার সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

Read Previous

কাপ্তাইয়ে শীত বস্ত্র বিতরণ

Read Next

ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠিত