শেখ হাসিনার অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন -সেতুমন্ত্রী

সাইফুল ইসলাম,রামগড়: পদ্মাসেতু স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা এমন মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মো. ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পায়রা বন্দর ও সমুদ্র বন্দরের মতো মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন তো দূরের কথা খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় এমন প্রকল্প গ্রহণের সাহসও করেনি। এখন পদ্মাসেতুর মতো মেগা প্রকল্পগুলো দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। তাই তারা পদ্মা সেতু নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেরেছেন, আর এটাই খালেদা জিয়ার অন্তরজ্বালা। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ যথাসময়ে সম্পন্ন হবে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তখন দেখবো বিএনপির নেত্রীসহ নেতাকর্মীরা পদ্মা সেতু দিয়ে যায় কিনা।’

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জাতিকে বিভ্রান্ত করছে মন্তব্য করে সেতু মন্ত্রী মো. ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সকল বিভাগ ও সংস্থা তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত হবে। পুলিশ তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই কাজ করবে।

বুধবার দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণ এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারত ও বাংলাদেশ বিভিন্ন সংযোগ প্রকল্পে একযোগে ঘনিষ্টভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ফেনী নদীর ওপর প্রস্তাবিত সেতু তেমনই একটি প্রকল্প। এ সেতু দক্ষিণ ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা করবে। এ সেতুর ফলে এলাকার উন্নতির পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা ও পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হবে। এ বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে মৈত্রী সেতুর কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।

এর আগে রামগড় পৌরসভা মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মো. ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।

এসময় ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আলী আহমেদ খান ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Read Previous

গুইমারায় কিশোরী নির্যাতন: ১০ দিন পর থানায় মামলা, বখাটে আটক

Read Next

লামায় পাথর বিষ্ফোরণে শ্রমিক আহত