৩০০ আসনেই একক প্রার্থী চূড়ান্ত করে রাখছে বিএনপি

খাগড়াছড়ি আসনে সাবেক এমপি ও জেলার সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া

পাহাড়ের আলো ডেস্ক: আগের প্রার্থীর মৃত্যু, বার্ধক্য, নিখোঁজ হওয়া, অজনপ্রিয়তা, দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয়তা বহিষ্কার কিংবা দলের বাইরে অবস্থানের কারণে বেশ কিছু আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হচ্ছে

খোন্দকার কাওছার হোসেন : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছে বিএনপি। ইতোপূর্বে তৈরি করা খসড়া তালিকায় স্থান পাওয়া ৯০০ জনের মধ্য থেকে ৩০০ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি দলটি। এ কাজে দায়িত্ব পাওয়া দলটির কতিপয় নেতা হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আসনভিত্তিক প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছেন। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা এতে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটছে। রাখা হয়েছে একদম নতুন মুখ। ইতোমধ্যে চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাওয়াদের আংশিক নাম পাওয়া গেছে।

চূড়ান্ত তালিকায় নতুনদের স্থান দেয়ার ব্যাপারে বিএনপির হাইকমান্ড কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। বিষয়গুলো হলো- প্রার্থীর মৃত্য, বার্ধক্য, নিখোঁজ, অজনপ্রিয়তা, দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয়তা বহিষ্কার কিংবা দলের বাইরে অবস্থানগত কারণে উল্লেখযোগ্য আসনে পরিবর্তন আসছে। এসব আসনে নতুন প্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তবে নতুনদের আপাতত চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হলেও তাদের প্রশ্নে আরো খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। নেতিবাচক কিছু পাওয়া গেলে চূড়ান্ত তালিকা থেকেও ছিটকে পড়তে পারেন অনেকে।

২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তার ফাঁসি কার্যকার হওয়ায় এবার এ আসনে সাংবাদিক নেতা ও দলের সহপ্রচার সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরীর নাম চূড়ান্ত তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে। একইভাবে ঢাকা-৭ আসনে নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর মৃত্যুজনিত কারণে তার স্ত্রী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসিমা আক্তার কল্পনার নাম চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গাজীপুর-৪ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহর মৃত্যুতে তার ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নানকে তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে। নাটোর-১ আসনে ফজলুর রহমান পটলের মুতুতে তার স্ত্রী অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার শিরিনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে কুমিল্লা-২ আসনে এম কে আনোয়ার, পঞ্চগড়-২ মোজাহার হোসেন মারা যাওয়ায় এ দুই আসনে দলের যোগ্য প্রার্থী আপাতত মিলছে না। সিলেট-২ আসনে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদী লুনা স্থান পেয়েছেন।

বার্ধক্যজনিত কারণে পঞ্চগড়-১ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের পাশাপাশি তার ছেলে দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও যশোর-৩ আসনে তরিকুল ইসলামের সঙ্গে তার ছেলে দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।

অজনপ্রিয়তার কারণে বরিশাল-১ আসনে ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহানের পরিবর্তে সাবেক সংসদ সদস্য জহিরউদ্দিন স্বপনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ-১ আসনে নজির হোসেন, নরসিংদী-৪ আসনে সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, যশোর-৬ আসনে মফিকুল হাসান তৃপ্তি, ময়মনসিংহ-৪ আসনে দেলোয়ার হোসেন দুলু, ফরিদপুর-৩ আসনে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ঢাকা-১৮ আসনে মেজর (অব.) কামরুল ইসলামের মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। নিষ্ক্রিয়তার কারণে খুলনা-৪ আসনে শাহ শরিফ কামাল তাজের পরিবর্তে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল স্থান পেয়েছেন।

একই অবস্থা সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে, এখানে মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদেরের পরিবর্তে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি রকিবুল করিম খান পাপ্পুর ভাগ্য খুলেছে। ঝালকাঠি-১ আসনে ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এভাবে সারা দেশে বিএনপি শতাধিক আসনে দলের প্রার্থী পরিবর্তন চূড়ান্ত করেছে। যাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে মাঠ গোছানোর সবুজ সংকেত পেয়েছেন দলীয় হাইকমান্ডের তরফ থেকে। বাকিদের দ্রুতই মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশনা দেয়া হবে।

চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাওয়া নেতারা হলেন, ঢাকা-১ (দোহার ও নবাবগঞ্জ) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান। ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ-কামরাঙ্গীচর) আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ঢাকা-৮ (রমনা) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ঢাকা-১৫ (কাফরুল) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। ঢাকা-১৬ (পল্লবী) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু। ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান।

গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে বিএনপির প্রয়াত নেতা আসম হান্নান শাহর ছেলে মো. রিয়াজুল হান্নান। গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম ফজলুল হক মিলন।

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে সাবেক এমপি মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া। নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনে সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম। নরসিংদী-১ (সদর) আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন। নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মইন খান। নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) আসনে সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল।

মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর-হরিরামপুর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত। মুন্সীগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং-টঙ্গিবাড়ী) আসনে বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা। মুন্সীগঞ্জ-৩ (মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই। টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান আজাদ। টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান। টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী। টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান। কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. ওসমান ফারুক। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান। কিশোরগঞ্জ-৬ (কুলিয়ারচর-ভৈরব) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম।

ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) আসনে শ্রমিক নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর-বিভাগ) শামা ওবায়েদ। ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। রাজবাড়ী-১ (সদর ও গোয়ালন্দ) আসনে সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহসম্পাদক জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-চট্টগ্রাম সিটির ৯ ও ১০ ওয়ার্ড) আসনের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী-সিটির ১ ও ২ ওয়ার্ড) আসনে ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিন। চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরী। চট্টগ্রাম-৮ (শ্রীপুর-বোয়ালখালী থানা আংশিক-সিটির ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭নং ওয়ার্ড) আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোর্শেদ খান। চট্টগ্রাম-১০ (সিটির ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬নং ওয়ার্ড) আসনে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। চট্টগ্রাম-১১ (সিটির ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১নং ওয়ার্ড) আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহম্মদ। কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজান চৌধুরী। খাগড়াছড়ি আসনে সাবেক এমপি ও জেলার সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া।

ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া-পরশুরাম-ফুলগাজী) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি। কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-মেঘনা) আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। কুমিল্লা-৮ (বরুড়া-সদর দক্ষিণের একাংশ) আসনে কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন।

নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে যুগ্ম মহাসচিব, সুপ্রীম কোট বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। নোয়াখালী-২ (সেনবাগ) আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু। নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহম্মদ শাহজাহান। নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

লক্ষীপুর-২ (রায়পুর) আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া। লক্ষীপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলন। চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী।

ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। পঞ্চগড়-১ (পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া-আটোয়ারী) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ( অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি নির্বাচন করতে না পারলে তার ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির)। নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-আংশিক কিশোরগঞ্জ) কণ্ঠশিল্পী ও জাসাস নেত্রী বেবী নাজনীন।

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল হক। রাজশাহী-২ (রাসিক) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। বগুড়া-৬ (সদর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ। সিরাজগঞ্জ-২ (সদরের একাংশ-কামারখন্দ) আসনে ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান তালুকদার।

সিলেট-১ (সদর-সিটি করপোরেশন) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অথবা তার ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ) নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা। সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট জৈন্তাপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম। সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ-তাহিরপুর) সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন। সুনামগঞ্জ-৪ (সুনামগঞ্জ সদর-বিশ্বম্ভরপুর) চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুল হক আছপিয়া। সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন।

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ সুজাত মিয়া। হবিগঞ্জ-২ (আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন। মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী)আসনে কেন্দ্রীয় নেতা এবাদুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া-কমলগঞ্জ) সাবেক সংসদ সদস্য এমএম শাহিন। মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ছেলে জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান।

খুলনা-২ (সদর থানা-সোনাডাঙ্গা) আসনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দীঘলিয়া) আসনে বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। যশোর-১ (শার্শা) আসনে সংস্কারপন্থি নেতা বহিষ্কৃত সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি। যশোর-৩ (সদর) আসনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম (অসুস্থতাজনিত কারণে প্রার্থী না হলে তার ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত)। ঝিনাইদহ-২ (হরিনাকুণ্ডু-সদরের আংশিক) আসনে সাবেক সাংসদ মশিউর রহমান। সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব। চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা সদরের আংশিক) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ।

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপন। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারিপাড়া) বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জয়নুল আবেদিন। বরিশাল-৫ (বরিশাল সদর ও মহানগর) আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার।

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। পটুয়াখালী-১ (সদর) আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন।

বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দীন) আসনে সাবেক সাংসদ হাফিজ ইব্রাহিম। ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দীন) আসনে ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে সাবেক সাংসদ নাজিম উদ্দিন আলম।

ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স। জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে সাবেক সাংসদ রাশিদুজ্জামান মিল্লাত। নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এদিকে, আগামী নির্বাচনে জামায়তসহ জোট শরিকদের কোন কোন আসনে ছাড় দেয়া হবে তারও একটা খসড়া তালিকা করছে বিএনপি। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে সংশ্লিষ্ট দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে। বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, এবার জামায়াতের আসন নিশ্চিতভাবেই কমছে। কারণ যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় ও জেলে থাকায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের আসনে এবার প্রার্থী সংকটে রয়েছে দলটি। এসব আসনের ব্যাপারে নতুন করে ভাবছে বিএনপি নেতৃত্ব। তাছাড়া, বাস্তবতার নিরিখে কয়েকটি আসনে এবার জামায়াতের ভোটের বাজার নাজুক। শীর্ষ নেতারা যুদ্ধাপরাধ মামলায় সাজা পাওয়ায় ভাবমূর্তি সংকটেও রয়েছে দলটি। এসব বিবেচনায় ২০০৮ সালের তুলনায় কম আসনে জামায়াতকে ছাড় দেয়ার কথা এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি।

আগামী নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া সসম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিটি নির্বাচনে মনোনয়ন পরিবর্তন দলের রুটিন ওয়ার্কের অংশ। আগামী নির্বাচনেও তেমনটা হতে পারে। দলের প্রার্থী তালিকা তৈরি করাও একটি রুটিন ওয়ার্ক। সামনে যেহেতু নির্বাচন রয়েছে সে কারণে তালিকা নিয়ে কাজ চলা স্বাভাবিক। তবে দলের মনোনয়ন বোর্ডই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী। যার প্রধান দলীয় চেয়ারপারসন নিজে। চূড়ান্ত মনোনয়ন চেয়ারপারসনের সম্মতিতেই হবে। সূত্র: দৈনিক ভোরের কাগজ, বুধবার, ১০ জানুয়ারি ২০১৮।

Read Previous

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে লক্ষ্মীছড়িতে নানা কর্মসূচি পালিত

Read Next

মহালছড়িতে উন্নয়ন মেলার আয়োজন