ভ্রমন পিপাসুদের নতুন মাত্রা ভগবান টিলা, পৃষ্টপোষকতা পেলে হতে পারে ২য় সাজেক

সাইফুল ইসলাম: মানুষ চিরকালই ভ্রমনপ্রিয়। শৌখিন খাদ্যাভাস,সিল্কি পোশাকের পাশাপাশি ভ্রমনও আদিযুগ থেকেই মানুষের কাছে সুপ্রিয়। বাংলাদেশে পর্যটনের অন্যতম শহর খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ির আলুটিলা, শতবর্ষী বটগাছ, রামগড় চা বাগান, সাজেক এখানকার পর্যটন স্পটগুলোর মধ্য অন্যতম। মনকে আনন্দ ও বাস্তব শিক্ষার জন্য ভ্রমণ অপরিহার্য। হলুদ উৎপাদন ও পর্যটনের জন্য খাগড়াছড়ি ইতিমধ্যেই বির্হিবিশ্বে তার সুনাম কুড়িয়েছে।

এবার পর্যটনের অন্যতম আরেকটি আকর্ষণীয় স্পট খুঁজে পাওয়া গেছে খোদ খাগড়াছড়িতেই। খাগডাছড়ি জেলার মাটিরাংগা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নে এমন একটি আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট রয়েছে যা দেখতে বাংলার দার্জিলিং খ্যাত সাজেকের চেয়েও কোন অংশে কম নয়। রয়েছে উচুঁ-নিচু পাহাড়ের কোন্দল,চারপাশে মেঘের ভেলা, এপার বাংলা ওপার ভারতের মিলনমেলা আর সারি সারি গাছের জটলা। মোটকথা এ যেন বাংলার ২য় সাজেক কিংবা সেকেন্ড দার্জিলিং অব বেঙ্গল।

এখন মূল সাজেকের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্টপোষকতায় ও যথাযথ পদক্ষেপেই এই ভগবান টিলা রুপান্তর হতে পারে বাংলার ২য় দার্জিলিং। সাজেক থেকে কম দুরুত্বে অবস্থিত এই ভগবান টিলা পাহাড়ের উপরে উঠলে দেখা যাবে মেঘের খেলা, বৃষ্টির লুকোচুরি আর এই পাহাড়ের অর্ধেক পড়েছে ভারতের অংশ। নিরাপত্তার জন্য আছে বিজিবির ক্যাম্প।

বলতে গেলে বাংলার ২য় দার্জিলিং এই পাহাড় সৃষ্টিকর্তার আরেকটি নিদর্শন। পর্যটনের নতুন এই ক্ষেত্রটির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে চাইলে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী লোকমান হোসেন জানান, সাজেকের মতো পৃষ্টপোষকতা পেলে ভগবানটিলা অচিরেই আরেকটি সাজেকে পরিনত হবে যা পর্যটকদের জন্য অনেকটা ব্যয় সংকোচ হবে। তাছাড়া স্পটটি চালু হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে অচিরেই। পাহাড়ের লীলাভূমি খাগড়াছড়িতে দেশ-বিদেশের ভ্রমণবিলাসী যারা ঘুরতে আসেন তাদের জন্য অন্যরকম এক সুখানুভূতি হতে পারে উচু পাহাড়ের নতুন এই সাজেক।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post