দীঘিনালায় জাল টাকাসহ আটক ২

মোঃ আল আমিন, দীঘিনালা: দীঘিনালা উপজেলায় ১হাজার টাকা মানের কম্পিউটারে কালার প্রিন্টআউট করা জাল নোটসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। তবে জালনোট সরবরাহের মুল হোতা পালিয়ে গেছে বলে পুলিশের নিকট স্বীকার করেছে আটককৃতরা। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ছোটমেরুং এলাকায়। আটককৃতরা হলো ছোটমেরুং এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রুবেল এবং একই এলাকার মো. ইউছুফ আলীর ছেলে মো. সুমন।

উপজেলার বোয়ালখালী বাজারের মান্না  বড়ুয়া জানান, বোয়ালখালীর দুই ছেলের নিকট থেকে দুইটি পুরাতন মোবাইল ফোন ক্রয় করে আটককৃত দুইজন। বিক্রেতাদের ১ হাজার টাকা মানের জাল নোট দিয়ে চলে যায় তারা। পরে জাল নোট বুঝতে পেরে বিষয়টি তিনি (মান্না)সহ কয়েকজন মোবাইল ক্রেতাদের খোঁজতে মেরুং বাজারে যায়। একজনকে সেখানে পেয়ে আটক করে তার স্বীকারোক্তিতে ছোটমেরুং পুলিশ ফাাঁড়িতে হস্তান্তর করেছে পরে আটককৃতের স্বীকারোক্তিতে অপরজনকেও আটক করা হয়।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রহমান কবীর রতন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার আগের দিন ছোটমেরুং বাজারে তাঁর  (চেয়ারম্যানের) ছোট ভাই মোহনের কাপড়ের দোকান থেকে আটককৃতরা জাল টাকা দিয়ে কাপড় কিনে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যানের নিকট প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তিন জায়গায় এরা তিনটি জাল নোট দিয়েছে এবং নগদ পাওয়া গেছে ৯টি জোল নোট।

ছোটমেরুং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্র্জ মো. বাছির মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাতে তাদেরকে আটক করা হলেও গতকাল (বুধবার) বিকালে আটককৃতদের থানায় পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, তারা এ জাল নোটগুলো নিয়েছে ভূইয়াছড়ির জনৈক মনিরের নিকট থেকে। সে মনির এখন পলাতক রয়েছে। এছাড়া যে নোটগুলো পাওয়া গেছে তার সবগুলোর নম্বর একই; তা থেকে ধারনা করা হচ্ছে এ নোটগুলো কোন কম্পিউটারের মাধ্যমে কালার প্রিন্টআউট করা হয়েছে।

দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সামসুদ্দীন ভূঁইয়া আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মুল ঘটনা কি; এর সাথে আরো কেউ জড়িত কিনা তার বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

Read Previous

লক্ষ্মীছড়িতে চাইল্ড হেল্প লাইন-১০৯৮ সম্পর্কে ওরিয়েন্টশন সভা

Read Next

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সম্প্রতির বন্ধন লেকার্স স্কুল- জিওসি