এম. সাইফুর রহমান, খাগড়াছড়ি: নানা রঙের সাজে, নানা বয়সী মানুষের উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির ‘বৈসু’ র্যালির মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে শুরু হ
এম. সাইফুর রহমান, খাগড়াছড়ি: নানা রঙের সাজে, নানা বয়সী মানুষের উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির ‘বৈসু’ র্যালির মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে চাকমা-মারমা-ত্রিপুরা-বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির বৈসাবীন উৎসব।
এ উপলক্ষে বুধবার খাগড়াছড়িতে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রাটি শহর পদক্ষিন করে টাউনহল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জেলা পরিষদের উদ্যোগে মারমাদের জলকেলি, ত্রিপুরাদের ‘গরয়া’ নৃত্যসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো: নুরুল আমিন। এসময় সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যাায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও নানা শ্রেনীপেশার মানুষ অংশ নেন।
পাহাড়ি-বাঙ্গালী নারী-পুরুষ-ছেলে-মেয়ে ঐতিহ্যবাহী পোষাকে শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন করেন। তারা নেচে গেয়ে শহরকে মাতিয়ে তোলে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) চাকমাদের ফুল বিঝু। ভোরে চেঙ্গীনদীতে ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে ‘বৈসাবি’র আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হবে তাদের।১৩ এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায়ের মূল বিঝু আর পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা। ওইদিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। সেই সাথে সব বয়সী মানুষ নদী খাল অথবা ঝর্নায় গঙ্গা দেবীর পুজা আরাধনা করবেন। এছাড়াও ১৪ এপ্রিল নববর্ষের দিন থেকে মারমা অদিবাসীদের সাংগ্রাইং উৎসব শুরু হয়। ঐদিন মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব পালন করে আসছে। যা সময়ের ব্যবধানে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে ‘বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। গত বছর থেকে বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের দাবীর প্রেক্ষিতে নববর্ষের ন যুক্ত হয়ে বৈসাবীন পালন করা হচ্ছে।