পানছড়িতে টিন আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায় নি

পানছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বরাদ্দের ৩৭ বান্ডিল টিন আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়নি। ৫নং উল্টাছড়ি ইউপির ওমরপুর গ্রামের মো. আনোয়ার আলীর ছেলে মো. জমশেদ আলী একই গ্রামের মো. সাদের আলীর ছেলে মো. মাসুদ রানার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছিল।

পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের কার্যালয়ে এ নিয়ে দুপক্ষকে স্বাক্ষী প্রমানসহ উপস্থিত থাকার দিন ধার্য করে দেন। বাদীর অভিযোগ ছিল ৩৭ বান্ডিল টিন আত্মসাৎ করা হয়। কিন্তু ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ২৭ বান্ডিল।

১৫বান্ডিল টিন বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হলেও সেগুলো মাসুদ রানার ক্রয়কৃত টিন বলেও প্রমানিত হয়। আমিরুল বাশার জানায়, আমার নামে চার বান্ডিল টিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। আমার ঘরের ছাউনি দেয়া জরুরী বিধায় আমি মাসুদের কাছে বিক্রি করে অগ্রিম টাকা নিয়ে বাজার থেকে ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করেছি।  বেশ কয়েকজন একই জবানবন্দি প্রদান করেন। তাছাড়া রোজিনা, সুমি, সালেমা. আ. মান্নান, আ. মালেক, রেনু দে, রতœা দে, মানিক সাঁওতাল, মিন্টু সাঁওতাল সঠিকভাবে টিন পেয়েছেন বলে উপস্থিত হয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জবানবন্দি দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সবকিছু যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে বাদীর অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। আরও তদন্ত বাকী রয়েছে। যা জেলা থেকে তদন্ত করা হবে বলে তিনি জানান।

Read Previous

চন্দ্রঘোনায় অগ্নিকান্ডে ৪ বসতঘর পুড়ে ছাই

Read Next

অপহৃত ৩ বাঙ্গালী উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা