পাহাড়-ঝর্ণার সৌন্দর্য্য দেখতে চাইলে ঘুরে আসুন ‘খাগড়াছড়ি’

স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মোট আয়তন ২৬৯৯.৫৫ বর্গ কিলোমিটার। এই জেলার উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা, পূর্বে ভারতের মিজোরাম রাজ্য ও ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য অবস্থিত। ঢাকা থেকে  খাগড়াছড়ির  দূরত্ব হচ্ছে ২৬৬ কি.মি. ও চট্টগ্রাম হতে দূরত্ব হচ্ছে ১১২ কি.মি.। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের অধিনে একটি পার্বত্য জেলা।
অসংখ্য ঝর্ণা আর বুনো পাহাড় মিলিয়ে এক জানা-অজানা রহস্যের নাম খাগড়াছড়ি। আমাদের পার্বত্য জেলাগুলোর মধ্যে পর্যটনের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে এই জেলাটিই যদিও অফুরন্ত পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে হাতছানি দিয়ে ডাকছে খাগড়াছড়ি। প্রকৃতি অকৃপণভাবে সাজিযেছে খাগড়াছড়িকে। স্বতন্ত্র করেছে বিভিন্ন অনন্য বৈশিষ্ট্যে। এখানে রয়েছে আকাশ-পাহাড়ের মিতালী, চেঙ্গী ও মাইনী উপত্যকার বিস্তীর্ণ সমতল ভূভাগ ও উপজাতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্রতা। মহালছড়ি, দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, লক্ষীছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।
খাগড়াছড়ির দর্শনীয় স্থানসমূহঃ পর্যটকদের জন্য খাগড়াছড়িতে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু স্থানের বর্ণনা দেয়া হলো-
আলুটিলা পাহাড় ও গুহাঃ সৌন্দর্যের ঐশ্বর্যময় অহঙ্কার খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশ পথ আলুটিলা। জেলা সদর থেকে মাত্র ৭ কি.মি. এবং পর্যটন মোটেল থেকে ৫ কি.মি. দূরে মাটিরাঙ্গা উপজেলাতে এটি অবস্থিত। আলুটিলা পাহাড় থেকে খাগড়াছড়ি শহরের পুরো চিত্র দেখা যাবে। প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণের জন্য টিলায় একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারও আছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি চমৎকার ডাকবাংলোও রয়েছে এখানে। আ্রগ্র্রহী পর্যটকগণ ইচ্ছে করলে রাত্রিযাপনও করতে পারেন। এই আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে আছে একটি প্রাকৃতিক গুহা যা এই কেন্দ্রের মূল আকর্ষন। এই গুহা ২৮২ ফুট দৈর্ঘ্য এবং গুহার একপাশ থেকে অন্য পাশে যেতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। গুহার একপাশ থেকে অন্যপাশে পানি প্রবাহমান। গুহার ভিতর অনেক অন্ধকার তাই টর্চ লাইট বা মশাল নিয়ে যেতে হবে। পর্যটন কেন্দ্রের গেটে ১০ টাকা দিয়ে মশাল পাওয়া যাবে। সাথে মশাল জ্বালানোর জন্য ম্যাচ নিতে ভুলবেন না। প্রবেশ পথের টিকিট মূল্য ১০ টাকা। চাদের গাড়ি ভাড়া করে অথবা লোকাল বাস বা সিএনজি করে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পারবেন। লোকাল বাসে ভাড়া লাগবে ১০/১৫ টাকা।
রিছাং ঝর্ণাঃ এই ঝর্ণা দেখতে হলে চাদের গাড়ি, লোকাল বাস বা সিএনজি করে আলুটিলা থেকে আরো ২ কি.মি. এগিয়ে প্রথমে হৃদয় মেম্বার এলাকায় যেতে হবে। সেখান থেকে প্রায় ২.১০ কি.মি. দূরে রিছাং ঝর্ণা। এই পথ হেটে বা হোন্ডাতে করে যেতে হবে। হোন্ডাতে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে নিবে শুধু যাওয়ার জন্য, আসার সময় ১০০ টাকা। চাদের গাড়ি বা সিএনজি নিয়ে গেলে ঝর্ণা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নামতে হবে, বাকিটা হেটে যেতে হবে। জেলা সদর থেকে ৯ কি.মি., পর্যটন মোটেল থেকে ৭ কি.মি. এবং আলুটিলা থেকে ২ কি.মি. দূরে মাটিরাঙ্গা উপজেলাতে এই ঝর্ণা অবস্থিত। আলুটিলা থেকে লোকাল বাসে ৫ টাকা টাকা দিয়ে হৃদয় মেম্বার এলাকায় যাওয়া যাবে। রিসাং ঝর্ণার কাছাকাছি আরেকটি ঝর্ণা আছে যা রিছাং ঝর্ণা–২ বা অপু ঝর্ণা নামে পরিচিত। এটির পথ একটু দুর্গম এবং রিছাং ঝর্ণা থেকে যেতে ৩০/৪০ মিনিট লাগবে।
দেবতা পুকুরঃ এটি সমুদ্র ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ১০০০ ফিট উপরে পাহাড়ের চুড়ার মধ্যে অবস্থিত একটি পুকুর যা স্থানীয় ভাবে দেবতা পুকুর নামে পরিচিত। পুকুরের আকার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০০ ফুট এবং প্রস্থে প্রায় ৬০০ ফুট। এটি খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি রোডে নুনছড়ি ত্রিপুরা গ্রামে অবস্থিত। এই গ্রাম পর্যটন মোটেল থেকে ১২ কি.মি. এবং মাইছছড়ি থেকে ৪ কি.মি. দূরে অবস্থিত। খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটির লোকাল বাসে করে মাইছছড়ি পর্যন্ত যাওয়া যাবে বাকিটা পায়ে হেটে যেতে হবে। চাদের গাড়ি, সিএনজি ভাড়া করে বা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গেলে নুনছড়ি ত্রিপুরা গ্রাম পর্যন্ত যাওয়া যাবে। পাহাড়ের চুড়ায় উঠার জন্য প্রায় এক থেকে সোয়া এক ঘন্টা হাটতে হবে। খাগড়াছড়ি বাস স্ট্যান্ড থেকে চাঁদের গাড়ীতে নুনছড়ি ত্রিপুরা গ্রামে যেতে আসা-যাওয়া ভাড়া পড়বে প্রায় ১২০০-১৫০০ টাকা।
শতবর্ষী পুরোনো বটবৃক্ষঃ মাটিরাঙ্গা উপজেলার খেদাছড়ার কাছাকাছি এলাকায় এ প্রাচীন বটবৃক্ষ শুধু ইতিহাসের সাক্ষী নয় এ যেন দর্শনীয় আশ্চর্যের কোন উপাদান। এ গাছের বয়স নিরূপনের চেষ্টা একেবারেই বৃথা। পাঁচ একরের অধিক জমির উপরে এ গাছটি হাজারো পর্যটকের কাছে দারুণ আকর্ষণীয়। শতবর্ষী এই বৃক্ষ দেখতে হলে খাগড়াছড়ি শহড় থেকে বাসে করে মাটিরাঙ্গা বাজার আসতে হবে। সেখান থেকে ২.৫০ কি.মি. পায়ে হেটে অথবা মোটর বাইকে করে যেতে হবে। মোটর বাইকে ভাড়া নিবে জনপ্রতি প্রায় ১০০ টাকা।
পানছড়ি অরন্য কুটির ও রাবার ড্যামঃ খাগড়াছড়ি জেলা থেকে ২৫ কিমি উত্তরে, পানছড়ি সদর উপজেলা থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত শান্তিপুর অরন্য কুটির। এই কুটিরে প্রবেশ মুহুর্তে চোখে পড়বে নয়নাভিরাম ৪৮.৫ ফুট উচ্চতার বৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তি। যা মুহুর্তেই অভিভুত করবে যে কাউকে। মূল মূর্তিটি ৪২ ফিট উচু এবং বেদিটি ৬.৫ ফিট উচু। সবনিয়ে মূর্তিটি ৪৮.৫ ফিট উচু। এই বৌদ্ধ মুর্তি দেখার জন্য প্রতিদিন এইখানে ভীড় করে শত শত পর্যটক। পানছড়ি অরন্য কুটির থেকে ৩ কি.মি. আগে রয়েছে একটি রাবার ড্যাম। এটি অরন্য কুটির যাওয়ার পথেই পড়বে। ২০০৪ সালে প্রায় ১.৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বৌদ্ধমূর্তি নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৬৫ একর জায়গা নিয়ে শান্তিপুর অরণ্যকুটির অবস্থিত। খাগড়াছড়ি শহড়ের চেঙ্গি স্কোয়ার থেকে সিএনজি নিয়ে সরাসরি অরণ্যকুটির যাওয়া যায়। আপ-ডাউন ভাড়া ৮০০ টাকা পড়বে। মেইন রোড থেকে ৩ কি.মি. ভিতরে পাহাড়ের উপর অরণ্যকুটির। যাওয়ার পথে চেঙ্গি নদীর উপর নির্মিত রাবার ড্যাম দেখা যাবে।
তৈদুছড়া ঝর্ণাঃ বাংলাদেশের যে কয়েকটি নয়নাভিরাম ঝর্ণা রয়েছে তার মধ্যে তৈদুছড়া ১ ও ২ অন্যতম। খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় সবুজ পাহাড় আর বুনো জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত নয়নাভিরাম ঝর্ণা দুটির নাম তৈদুছড়া ঝর্ণা। খাগড়াছড়ি থেকে তৈদুছড়া ২ ভাবে যাওয়া যায়। একটি দীঘিনালা হয়ে এবং অন্যটি সীমানা পাড়া দিয়ে। সীমানা পাড়া দিয়ে গেলে সময় অনেক বেঁচে যাবে কারন ট্র্যাকিং অনেক কম করতে হবে।
সীমানা পাড়া হয়ে গেলেঃ খাগড়াছড়ি শহড়ের শাপলা মোড় থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে নয় মাইল নামক স্থানে নামতে হবে। দীঘিনালাগামী যে কোন বাসে করে অথবা সিএনজি নিয়ে নয় মাইল যাওয়া যাবে। সেখান থেকে ৩/৪ কি.মি. হেটে সীমানা পাড়া যেতে হবে। এছাড়াও যে কেউ চাইলে শাপলা মোড় থেকে চাঁদের গাড়ী সীমানা পাড়া পর্যন্ত আপ-ডাউন ভাড়া করে নিতে পারেন। গাড়ী আপ-ডাউন ভাড়া পড়বে প্রায় ১৮০০/২০০০ টাকা। সকাল ৭ টায় রওনা হলে বিকাল ৪ টার মধ্যে খাগড়াছড়ি ফিরে আসতে পারবেন। সীমানা পাড়া থেকে গাইড ঠিক করে তাকে নিয়ে তৈদুছড়ার পথে হাটতে হবে। প্রায় ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট হাটার পর প্রথমে পড়বে তৈদুছড়া ঝর্ণা – ২ (উপরের ঝর্ণা) এবং সেখান থেকে ১ ঘন্টার পথ তৈদুছড়া ঝর্ণা – ১ (নিচেরঝর্ণা)।
দীঘিনালা হয়ে গেলেঃ বাসে করে খাগড়াছড়ি শহড়ের শাপলা মোড় থেকে ২৪ কি.মি. দূরে দীঘিনালা বাস স্টপেজে যেতে হবে। সেখান থেকে দীঘিনালা বাজার গিয়ে গাইড ঠিক করে নিতে হবে। তারপর জামতলি নামক জায়গা থেকে ট্র্যাকিং শুরু করতে হবে। ঝিরিপথ, উচু নিচু পাহাড় পার হয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা হাটার পর তৈদুছড়া ঝর্ণা – ১ (নিচেরঝর্ণা) পড়বে এবং সেখান থেকে ১ ঘন্টার পথ তৈদুছড়া ঝর্ণা – ২ (উপরের ঝর্ণা)। গাইড খরচ পড়বে ৩০০/৫০০ টাকা। দীঘিনালা হয়ে গেলে যেহেতু সময় বেশী লাগবে তাই একটু তাড়াতাড়ি বের হতে হবে।
সাজেক ভ্যালীঃ সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন। সাজেক যদিও রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত তবে যাতায়াতের সহজ পথ খাগড়াছড়ি-দিঘিনালা রোড। তাই যারা খাগড়াছড়ি ভ্রমণে যান তাদের কাছে অন্যতম আকর্ষন সাজেক ভ্যালী। খাগড়াছড়ি থেকে ৬৯ কি.মি. এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে ৩০ কি.মি. দুরের সাজেকের পুরোটাই পাহাড়ে মোড়ানো পথ। জেনে নিন সাজেক কিভাবে যাবেন। খাগড়াছড়ি শহড়ের শাপলা মোড় থেকে চাদের গাড়ী/ সিএনজি রিজার্ভ করে সাজেক যাওয়া যাবে। এছাড়াও নিজস্ব মাইক্রো বা কার নিয়েও যাওয়া যাবে। সময় লাগবে সবমিলিয়ে ৩ ঘন্টা। চাদের গাড়ী ভাড়া ৫০০০/৬০০০ টাকা (দরদাম করতে হবে), সিএনজি ভাড়া ৩০০০/৪০০০ টাকা (সিএনজিতে না যাওয়াই ভাল কারন প্রকৃতি ভালভাবে দেখা যাবে না)। যাওয়ার পথের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে হলে চাদের গাড়ীর ছাদে বসে যেতে হবে। সেই ক্ষেত্রে সাবধানে ধরে বসতে হবে। একটি চাদের গাড়ীতে অনায়াসে ১২ জন যেতে পারবেন। সাজেকে থাকার জন্য আছে – সাজেক রিসোর্ট – ০১৭৮৩৯৬৯২০০ এটি রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত, রুনময় রিসোর্ট- ০১৮৬৫৬৮৮৭৭, রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউস- ০১৮৩৮৪৯৭৬১২, ০১৮৬০১০৩৪০২, আলো রিসোর্ট- ০১৮৬৩৬০৬৯০৬ ইত্যাদি। এছাড়াও যে কোন কারবারীর ঘরে জন্রপ্র্রতি ১০০ টাকা দিয়ে থাকা যাবে (যদি ফাকা থাকে)। রুইলুই পাড়া থেকে সাজেকের দূরত্ব মাত্র ১ কি.মি.। এছাড়া সাজেক থেকে ২০/২৫ মিনিটের হাঁটা পথ কংলাক পাড়া যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০০ ফিট উপরে। কংলাক পাড়া থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকলে ভারতের লুসাই পাহাড় দেখা যায়। এই লুসাই পাহাড় থেকে বাংলাদেশের কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তি হয়েছে যা রাঙ্গামাটি হয়ে চট্টগ্রামের ভিতর দিয়ে এসে বঙ্গোপসাগড়ের সাথে মিলেছে।
এছাড়াও খাগড়াছড়িতে আরো যেসব দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শহড়ের মধ্যে ইয়োংড বৌদ্ধ বিহার, নিউজিল্যান্ড, জেলা পরিষদ পার্ক ও ঝুলন্ত সেতু, খাগড়াছড়ি চার্চ, মং রাজার বাড়ি, লক্ষী-নারায়ন মন্দির, পাহাড়ী কৃষি গবেষনা কেন্দ্র, দিঘীনালা মানিকক্যের দিঘী, দিঘীনালা রিজার্ভ ফরেষ্ট, হাজাছড়া ঝর্ণা, মহালছড়ি হৃদ, ভগবান টিলা, দুই টিলা ও তিন টিলা, রামগড় লেক ও টি গার্ডেন, মানিকছড়ি মং রাজার বাড়ি ইত্যাদি।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে বাসে করে খাগড়াছড়ি যেতে হবে। নন-এসি বাস ভাড়া ৫২০ টাকা এবং এসি বাস ভাড়া ৮০০ টাকা। এসি বাস একমাত্র সেন্টমার্টিন পরিবহন – ০১৭১১৩২১১৪৩, ০১৭১১৬৬৬১০৯, নন-এসি বাস শ্যামলী-০২-৯০০৩৩১, ০২-৮০৩৪২৭৫, ০১৭১৬-৯৪২১৫৪, শান্তি পরিবহন-০১১৯০৯৯৪০০৬, ঈগল – ০২-৯০০৬৭০০, ০২-৯৩৪৬৩৯১, ইকোনো-০১৭২১৯৪২৪৭৪, ০১৭১৫৩০০১৬৫, সৌদিয়া – ০১৯১৯৬৫৪৯৩৫, ০১৯১৯৬৫৪৮৫৮, এস আলম-০১৮১৩-৩২৯৩৯৪, ০২-৯৩৩১৮৬৮ ইত্যাদি। ঢাকা থেকে বাস ছাড়ে সকালে ও রাতে (১১.০০ টায়) এবং খাগড়াছড়ি থেকে বাস ছাড়ে সকালে ও রাতে (৯.০০ টায়) ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে সময় লাগবে রাতে ৭/৮ ঘন্টা এবং দিনে ৮/১০ ঘন্টা।
খাগড়াছড়িতে থাকার ব্যবস্থাঃ
পর্যটন মোটেলঃ যোগাযোগ ০৩৭১-৬২০৮৪, ০৩৭১-৬২০৮৫, ০১৫৫৬৫৬৪৩৭৫, এসি রুম ২১০০ টাকা এবং ননএসি রুম ১৩০০ টাকা। এটি শহড়ে ঢুকার ২ কি.মি. আগে চেঙ্গী নদীর পাশে অবস্থিত।
হোটেল ইকোছড়ি ইনঃ যোগাযোগ ০৩৭১-৬১৬২৫, ০৩৭১-৬১৬২৬, ০১৮২৮৮৭৪০১৪। রুম ভাড়া প্র্রতি রাত ১০০০-২৫০০ টাকা।
শৈল সুবর্ণঃ যোগাযোগ ০৩৭১-৬১৪৩৬। রুম ভাড়া প্রতি রাত ৬০০-১০০০ টাকা।
এছাড়াও শাপলা চত্বও মোড়ে অবস্থিত অন্যান্য হোটেলে ৩০০-৭০০্ টাকায় থাকা যাবে।
উল্লেখযোগ্য হোটেলঃ হোটেল জিরান ০৩৭১-৬১০৭১, ফোর স্টার ০৩৭১-৬২২৪০, থ্রি স্টার ০৩৭১-৬২০৫৭, লবিয়ত ০৩৭১-৬১২২০, চেঙ্গী ০৩৭১-৬১২৫৪, উপহার ০৩৭১-৬১৯৮০, রাজু বোর্ডিং ০৩৭১-৬১১৬১, চৌধুরী বোর্ডিং ০৩৭১-৬১১৭৬, ভাই ভাই বোর্ডিং ০৩৭১-৬১৪৬১ ইত্যাদি।
সতর্কতাঃ ঝর্ণা এলাকা ভ্রমণের সময় সাবধানে চলতে হবে কারন পিচ্ছিল পাথরে স্লিপ করে পরে যেতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই নন-স্লিপি জুতা পড়ে যাবেন। তৈদুছড়া ঝর্ণা– ১ এর সামনের পানির অংশ অনেক গভীর। তাই যারা সাতার জানেন না তারা অবশ্যই পানির গভীরতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে পানিতে নামবেন। নতুবা বিপদ হতে পারে। তৈদুছড়া ঝর্ণা – ২ তে এই সমস্যা নেই, ঐ যায়গার পানি অগভীর। তৈদুছড়া ভ্রমণের সময় জোক থেকে বাচার জন্য সাথে লবন বা গুল রাখবেন এবং পর্যাপ্ত শুকনা খাবার/চকলেট, পানি সাথে রাখবেন। অব্যবহৃত খাবার, পানির বোতল, প্লাস্টিক ইত্যাদি ফেলে আসবেন না, সাথে নিয়ে আসবেন।

Read Previous

মানিকছড়িতে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

Read Next

লক্ষ্মীছড়ি কৃষি বিভাগের উদ্যোগে মাঠ দিবস