জনদুর্ভোগ লাঘবে একটি সেতুই পাল্টে দিতে পারে দৃশ্যপট

মিন্টু মারমা: একটি ব্রিজ বদলাতে পারে দুই ইউনিয়ন বাসিন্দাদের জীবন যাত্রা।এটি মানিকছড়ি উপজেলায় বাটনাতলী ও তিনটহরী এ দুই ইউনিয়নের বাসীদের।সরেজমিনে দেখা গেছে, তিনটহরী-বাটনাতলী সংযোগ সড়কে যাওয়ার আসা একমাত্র বড়বিল খালের উপর দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। ওই খালের একটি ব্রিজ  না থাকায় দীর্ঘদিন চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলে তিনটহরী ও বাটনাতলী ইউনিয়ন বাসিন্দাদের দূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।গত কয়েকদিন ধরে ভারিবর্ষনের ফলে বড়বিল খালের উপর নির্মিত সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় দুপাড়ে বাসিন্দারা দুই কিলোমিটার পায়ে হেটে তুলাবিল ঘুড়ে পারাপার করতে হচ্ছে। জানাগেছে, গত কয়েকদিন ধরে ভারিবর্ষণের কারণে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা কোমলমতি শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়েছে।

গত সোমবার এলাকাবাসীরা ভেসে যাওয়া সাঁকোটিকে পূণর্নিমাণ করতে দেখাগেছে।প্রতিবছর দুইউনিয়নের বাসিন্দারা বর্ষাএলে তাদের উৎপাদিত তরিতরকারি গুলো সময় মতো বাজারজাত করতে পারছে না। এলাকাবাসীরা জানান, অনেক সময় উৎপাদিত ফসল গুলো সময়মত বাজারে নিতে না পারায় কাাঁচামাল গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।তিনটহরী ইউনিয়নের বড়বিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বাটনাতলী ইউনিয়নের বড়বিল সারি পুত্র বৌদ্ধ বিহার,বড়বিল জামে মসজিদসহ গুরুত্ব পূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন পাহাড়ি-বাঙ্গালিরা আসা-যাওয়া করে থাকে এ খালের উপর দিয়ে। বড়বিল গ্রামে কার্বারী রুইসা মারমা জানান,সম্প্রতি সময়ে খাগড়াছড়ির পাবর্ত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী এলাকায় পরির্দশনে আসলে এলাকাবসীরা ব্রিজ র্নিমাণে দাবী জানান,তিনি ফোট ব্রিজ নির্মাণে আশ^াস দেন।

এ প্রসঙ্গে ২নং বাটনাতলী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মোহন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে,ইউপিে বড় ধরণে বরাদ্ধ তেমন না থাকায় ব্রিজ র্নিমাণ করতে পারিনি,তবে আগামী বাজেটে ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের মধ্যমে বরাদ্ধ আসলে ব্রিজটি র্নিমাণ করা হবে। তাই এলাকাবাসীদের প্রাণের দাবী বড়বিল খালের উপর একটি ব্রিজ দ্রুত নির্মাণ করা হোক ।

Read Previous

ম্যালেরিয়া নির্মূলে পানছড়িতে ওরিয়েন্টশন সভা

Read Next

রাজস্থলী উপজেলায় ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন