ভয়াবহ বন্যায় লন্ডভন্ড ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর, ক্ষতি ১৫কোটি টাকার সম্পদ

স্টাফ রিপোর্টার: সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ বন্যায় লন্ড-ভন্ড করে দিয়েছে সাজানো গোছানো সমৃদ্ধ এলাকা ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ইউনিয়নের। কাঞ্চননগর ইউনিয়ন এলাকায় ধুরুং নদী একাধিক স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, মানুষের বাড়ি ঘর, পুকুর, মৎস্য খামার সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এতে উক্ত ইউনিয়নে অন্তত ১৫কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে গেছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন চৌধুরী কাতেব জানান। সরজমিনে গিয়ে এবং ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা থেকে দেখা যায়, সম্প্রতি বন্যায় ইউপির প্রধান ফটিকছড়ি– লক্ষীছড়ি সড়ক অন্তত ৩/৪স্থানে ভেঙ্গে গেছে।

এছাড়া কাঞ্চননগর ইউপি- পাইন্দং ইউপি সড়ক, ফটিকছড়ি-রাঙ্গামাটি- কাঞ্চুরহাট বাজার সড়ক, কাঞ্চননগর ইউপি টু কমিউনিটি সেন্টার সড়ক প্রভৃতি একাধিক স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। এছাড়া এই ইউনিয়নের ছোট বড় ৪৫টি সড়ক স্থানে স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। ফলে এলাকার জনগণকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া বন্যার পানিতে ইউপির ৬০টি কাঁচা ঘর সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে, এবং কয়েক শত ঘরে পানি ঢুকে সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পানিতে ভেসে কৃষকদের অন্তত ১৫লাখ টাকার ধান, ১০লাখ টাকা মূল্যমানের সব্জিক্ষেত, অন্তত কোটি টাকা মূল্যমানের মৎস্য প্রজেক্ট ও কয়েক শত পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের অন্তত ৫০টি গরু সহ বেশকিছু গৃহ পালিত ছাগল, হাঁস মুরগী বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

এব্যাপারে কাঞ্চননগর ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন চৌধুরী কাতেবের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর বর্ষায় ভেঙ্গে যাওয়া ধুরুং নদীর পাড়গুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক মেরামত না করায় সে সব ভাঙ্গন দিয়ে সহজেই নদীর পানি প্রবেশ করে এবং ধুরুং নদীর নতুন কয়েক স্থানে ভেঙ্গে কাঞ্চননগরে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। তিনি বলেন, সারা বছর চেষ্টা তদবির করে বরাদ্দ এনে গড়ে তোলা রাস্তাঘাটগুলো বন্যার পানিতে ভেঙ্গে কাঞ্চননগর ইউনিয়নকে কার্যত ধ্বংসন্তূপে পরিনত করে দিয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফটিকছড়ি–লক্ষীছড়ি সড়কের ভাঙ্গন এলাকায় কিছু ইট ফেলে কোন রকম যান চলাচলের উপযোগী করে দিলেও বাকি সড়কগুলো প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে মেরামত করা যাচ্ছে না বলে জানান। তবে সর্বাগ্রে ধুরুং নদীর পাড় গুলো মেরামত করা না হলে কোন উন্নয়নই টেকসই হবে না বলে মন্তব্য করেন। তিনি ক্ষয়ক্ষতির তালিকা সহ সরকারের নিকট জরুরি বরাদ্দ চেয়ে ইতোপূর্বে আবেদন করেছেন বলে জাানান।

Read Previous

রামগড়ে পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১

Read Next

বৌদ্ধ বিহার তৈরী করতে খাস ভূমি দখলের চেষ্টা গুইমারায়