ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের জন্য নিষ্পাপ সনদ!

স্টাফ রিপোর্টার: নিষ্পাপ সনদ দিয়ে ভারত থেকে ফেরত আনা হচ্ছে ৮২ হাজার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারকে। ৪৫১টি ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহারপর্বক তাদের নিষ্পাপ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাদের এনে সরকারি অর্থায়নে পুনর্বাসন করা হবে পার্বত্য রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায়। ইতোমধ্যে ওইসব পরিবারের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার গঠিত এই টাস্কফোর্স। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান এসব তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত ‘ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন’ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স-এর ৯ম সভায় এ তালিকাটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। টাস্কফোর্সের সভাপতি ও খাগড়াছড়ি জেলার সংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মানিক লাল বণিক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম, টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, স্থানীয় সরকারের বিভাগীয় পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। এখানে পাহাড়ি বা বাঙালি কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এছাড়াও উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের ঋণ মওকুফ, ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার, প্রত্যাগত শরণার্থীদের চাকরিতে জ্যেষ্ঠতা প্রদান, রেশন দেয়া এবং টাস্কফোর্স সদস্যদের সম্মানি ভাতা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, উদ্বাস্ত ও শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ৪৫১টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে ৪৪৬টি মামলা ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলোও জটিলতা নিরসন করে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে বলে জানা।

Read Previous

গুইমারাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী ও সাংস্কৃতিক সরঞ্জাম বিতরণ

Read Next

ফটিকছড়িতে ছাত্রলীগের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্টান