প্রচন্ড শীতে কাপছে মানিকছড়ি: জমে উঠেছে শীত বস্ত্রের কেনাকাটা

মানিকছড়ি প্রতিনিধি: পৌষ মাস প্রায়ই শেষ। আসছে মাঘ মাস। ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে শীত। শীতকে সামনে রেখে মানিকছড়ি উপজেলার সবকটি হাটবাজারে সব বয়সী মানুষের নানা ধরনের শীতবস্ত্র কেনা-কাটা জমে উঠেছে দিন দিন। তবে সবচাইতে বেশি জমে উঠেছে উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মানিকছড়ি বাজার। এখানে দোকানীদের পাশাপাশি হাটবাজারের ফুটপাত, ছোট বড় বস্ত্র দোকানী সকলেই পূর্বের মজুদ পোশাক ও নতুন পোশাকের চালান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফুটপাতের দোকানী থেকে শুরু করে বড় বড় সকল দোকানী ইতিমধ্যে শীতবস্ত্রের পশরা সাজিয়ে বসেছে। গ্রামীন জনপদের দরিদ্র ক্রেতারা তাদের ফুটপাতস্থ দোকান থেকে স্ব স্ব সাধ্য ও প্রয়োজন সারতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যে। বাচ্ছাদের জন্য বাহারি রঙ্গের সুয়েটার, ছেলেদের জন্য জ্যাকেট থেকে শুরু করে ব্লেজার, মেয়েদের জন্য হাল ফ্যাশনের শীত পোশাক ইত্যাদি পাহারি সব শীতব¯্র পোশাক সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। এছাড়া বাজারের কিছু শীতবস্ত্র পন্যের হকারদের কাছে ভীড় বাড়তে দেখা যাচ্ছে সম্প্রতি।

এবার গরম কাপড়ের কদর বেড়ে যাবে বলেই আশা করছে বিক্রেতারা। সব মিলিয়ে এবার বেঁচা বিক্রি ভালো হবে বলে আশা তাদের। শহরে খবর নিয়ে জানা গেছে বিভিন্ন কারখানায় শীত পোশাক তৈরিতে নাওয়া খাওয়া ভূলে কারিগররা তৈরি করছেন বাহারি ডিজাইনের শীত পোশাক।

মানিকছড়ি ভূঁইয়া ফ্যাশনের প্রোপাইটার মো. ছিদ্দিক বলেন, উন্নতমানের কম্বল, কোট, জ্যাকেট এবং শিশু ও মহিলাদের জন্য ও ভালো পন্যই এসেছে বাজারে। আশা করছি এবার বেঁচা বিক্রি ভালোই হবে। চমক গার্মেন্স এর মালিক চমক বলেন, এবার শীতের বেশ ভালো কালেকশান ইতিমধ্যে চালান করেছি। এছাড়াও জেনস পার্ক, আনোয়ারা ফ্যাশন, সানজিদা স্টোর, ব্লু-বার্ডসহ বিভিন্ন দোকানে শীতের প্রয়োজনীয় পোশাক দিয়ে সাজিয়েছেন দোকানিরা। শীত এলেই জুতা ও কসমেটিকস দোকান গুলোতে প্রসাধনি সামগ্রির চাহিদা বেড়ে যায়। তাই বেচাঁকেনা থেমে নেই কসমেটিকস ও জুতার দোকান গুলোতে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা তার পছন্দনীয় শীতবস্ত্র, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রি কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাশাপাশি দোকানিরা বেচাঁ বিক্রি করতে পেরে খুব খুশি। তারা আশা করছেন প্রতিবারের তুলনায় এবার বেশি বেচাঁবিক্রি হবে। এছাড়াও, শীতের শুরুতেই মৌসুমী শীতবস্ত্র দোকানীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
অনেকের মতে, অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি শীতের শেষের দিকেই শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়। অথচ শীতের শুরুতে কেউ এগিয়ে আসেনা। অথচ যারা দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে শীতবস্ত্র দিয়ে মানবতার কল্যাণ করতে চান শীতের শুরুতেই উচিত। লোকদেখানো নয় প্রকৃত মানব কল্যানই সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

Read Previous

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থন চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন লামায়

Read Next

খাগড়াছড়িতে বঙ্গবন্ধু’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন