খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী পিপলু বৈষ্ণব ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা

ষ্টাফ রিপোর্টার: গত ১৪জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী দলের রামগড় উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহন ত্রিপুরা’র হত্যাকান্ডের ৫দিনের মাথায় আবারও রক্তাক্ত হল পার্বত্য খাগড়াছড়ি। এবার দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছে পিপলু বৈষ্ণব ত্রিপুরা ওরফে রনি (৪২)ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) কর্মী

১৯জানুয়ারী শনিবার রাত ৮টায় খাগড়াছড়ি সদরের গাছবান এলাকায় এঘটনা ঘটে। নিহত রনি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার বল্টুরাম এলাকার মৃত নিগমানন্দ বৈষ্ণব ত্রিপুরার ছেলে। ঘটনার সময় নিহত রনি গাছবানমুখ এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন

জানা যায়, রনি পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ) সামরিক শাখার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সে ২০১৬ সালের ১৩নভেম্বর যৌথ বাহিনীর এক অভিযানে অস্ত্রসহ আটক হয়েছিল। অস্ত্র মামলার কারাভোগ করার পর জেল থেকে বের হয়ে আবারও সে ইউপিডিএফ সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বলে পুলিশী সূত্রে জানা যায়।

তবে নিহত রনিকে নিজেদের সাবেক কর্মী দাবি করে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের কেন্দ্রীয় প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক নিরন চাকমা বলেন, একটি দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পেয়ে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। ইউপিডিএফ সাথে সম্পৃক্ত থাকায় জনসংহতি সমিতির সংস্কারবাদীরা তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ইউপিডিএফ অভিযোগ অস্বীকার করে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় ছাত্র যুব বিষয়ক সম্পাদক এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা জানান, এটি তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে হয়ে থাকতে পারে। জনসংহতি সমিতিপার্বত্যচুক্তিবাস্তবায়নে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। গ্রুপের কেন্দ্রীয় প্রচার প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

Read Previous

রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা মাঝি হতে একাধিক প্রার্থী

Read Next

চিকিৎসা শেষে পানছড়িতে ফিরেছেন ইউপি চেয়ারম্যান নাজির