সুস্থ নৈতিকতাশ্রয়ী ইসলামী সংস্কৃতির প্রসার কাটিয়ে অপসংস্কৃতির রাশ টেনে ধরতে হবে

ডেস্ক রিপোর্ট: মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্মিক মনীষী হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানীর (ক.) ৮২ তম খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে ইসলামি ক্যালিগ্রাফি কর্মশালা এবং শিক্ষার প্রসার ও শান্তির সমাজ বিনির্মাণে সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানীর (ক.) অবদান শীর্ষক সেমিনার আজ ৬ ফেব্র“য়ারি বুধবার বিকেলে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া আইনজীবী পরিষদের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত হয়। আন্জুমান সাবেক সভাপতি আল্হাজ্ব মোহাম্মদ ইকবাল রিসালপুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানীর (মা.জি.আ.)।

বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী (মা.জি.আ.), চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) বলেন, সত্য, সুন্দর, সাম্য ও ইনসাফের মর্মবাণীই ধারণ করে ইসলাম। যা কিছু ভালো, সত্য ও সুন্দর তার পক্ষে সায় দেয় ইসলাম। আরবি অক্ষরকে সুন্দর লিপির মাধ্যমে উজ্জ্বলভাবে উপস্থাপনই হচ্ছে ইসলামী ক্যালিগ্রাফি। শিল্পীর তুলিতে ও আঁকায় ইসলামের সৌন্দর্য মূর্ত হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, যুব সমাজের মাঝে অবক্ষয় ও অনৈতিকতার বিস্তার আমাদেরকে গভীরভাবে শংকায় ফেলেছে। তাই, সুস্থ নৈতিকতাশ্রয়ী ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসার ঘটিয়ে যাবতীয় অপসংস্কৃতির রাশ টেনে ধরতে হবে। ইসলামের নান্দনিকতাকে ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরার এ ধরনের উদ্যোগ আগামী দিনেও অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, আউলিয়ায়ে কেরামগণ সব সময় সত্য ও ন্যায়নীতির পক্ষে সোচ্চার হন। মাইজভাণ্ডার শরীফের বুজুর্গ অলী, মহাত্মা মনীষী, শায়খুল ইসলাম, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.) ইসলামের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য ও শান্তির ললিতবাণী সাংগঠনিকভাবে দেশ ও বিশ্বে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি শিক্ষার প্রসার ও শান্তির সমাজ বিনির্মানে বহু খানকা, মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও হেফ্জখানা প্রতিষ্ঠাসহ দেশে দেশে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। শান্তির সমাজ বিনির্মানে ব্যাপক ভূমিকার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা “আফ্রিকান ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক মিশন ফর ওয়ার্ল্ড এন্ড ঘানা ন্যাশনাল সেলিব্রেশন্স” এর যৌথ আয়োজনে ‘বিশ্ব শান্তির দূত’ সম্মাননায় ভূষিত হন। তাঁর আলোকিতময় জীবনী বর্তমান প্রজন্মের নিকট তুলে ধরে মাদক, সন্ত্রাস, হানাহানি ও অবক্ষয়মুক্ত সমাজ বিনির্মানে এগিয়ে আসতে হবে। দুই পর্বের সেমিনারে প্রথম পর্বে ক্যালিগ্রাফি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন বিশ্বখ্যাত ক্যালিগ্রাফার চীনা নাগরিক কোয়াং জিয়াং মি (হাজ্বী নূর দ্বীন), মিসেস ফাতিমা ইয়াং চো সহ বিশিষ্ট ক্যালিগ্রাফারবৃন্দ।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পঞ্চাশেরও অধিক প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সেমিনার। সেমিনারে অতিথি ও আলোচক ছিলেন ছোবহানিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরতুল আল্লামা মুফতি হারুনুর রশিদ, অ্যাডভোকেট সৈয়দ কামাল, মইনীয়া আইনজীবী পরিষদের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন জাবেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট এসএম শহীদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ই.ম. রাকিব উল আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট দিদারই আলম, আন্জুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আল্হাজ্ব বোরহান উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মইনীয়া ওলামা মাশায়েখ ফোরাম সাধারণ সম্পাদক হযরত মাওলানা ইসমাইল সিরাজী, আন্তঃধর্মীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বিকিরণ বড়ুয়া রাসেল, ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলা অর্থ সম্পাদক এইচএম মঞ্জুরুল আনোয়ার চৌধুরী প্রমুখ। -বার্তা প্রেরক (শাহ্ মুহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া) কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া।

Read Previous

খাগড়াছড়িতে এম.পিকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ আওয়ামীলীগের

Read Next

মাটিরাঙ্গা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী মনোনীত