আন্দোলনে সম্পৃক্ততা অস্বীকার শিক্ষক আজাদের, এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি মানিকছড়ি ইউএনও

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উদ্দীন মুরাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়ে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমকে আজাদ।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধসহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের পর শনিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো পত্রে এ ঘটনার অসদাচরণের অভিযোগের অস্বীকার করে তিনি বলেন, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না এবং এর সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
মানিকছড়ির ইউএনও আহসান উদ্দীন মুরাদ যোগদানের পর কখনোই তার সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করেননি দাবি করে তিনি বলেন, মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যই স্মারকলিপিতে তার নাম জড়ানো হয়েছে। স্মারকলিপিতে তার নাম জড়ানোর প্রতিবাদও জানান যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমকে আজাদ।
এদিকে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উদ্দীন মুরাদ পাহাড়ের আলো‘কে বলেন, আমি ৮-২১ জানুয়ারি দুই সপ্তাহ মেয়াদী প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ঢাকায় ছিলাম। আমি কাকে কখন হেনস্তা করলাম তা আমার বোধগম্য নয়। আর আমি দুই সপ্তাহ আগে কাউকে অপমান করলে দুই সপ্তাহ পরে প্রতিবাদ কেন?
মানিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উদ্দীন মুরাদের বিরুদ্ধে শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে অসদাচরণ, অপদস্থ ও হেনস্তা করার প্রতিবাদে ও অপসারণের দাবিতে মানিকছড়িতে বিক্ষোভ করেছে উপজেলার কয়েকশ শিক্ষার্থী। এসময় শিক্ষার্থীরা মানিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসার আহসান উদ্দীন মুরাদের অপসারণে দুই দিনের আল্টিমেটাম দেয় জনপ্রতিনিধিদের। পরে তারা উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেয়।

Read Previous

সেনাবাহিনীর উদ্যোগে মাটিরাঙ্গায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা

Read Next

জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েলকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের শুভেচ্ছা