• July 27, 2024

অর্ধযুগ ধরে রাঙ্গুনিয়া কর্ণফুলী নদী পথে লোকাল বোট পরিবহন বন্ধ

শান্তি রঞ্জন চাকমা, রাঙ্গুনিয়া: কয়েক বছর আগেও রাঙ্গুনিয়া কর্ণফুলী নদীর সুবিশাল বুক জুড়ে ছিলো ইঞ্চিন চালিত বোটের অবাধ বিচরণ। থৈ থৈ রূপালি পানির ধারে ছিলো খেয়া পারাপারের মুখরতা। নদীর ঘাটে ঘাটে সারাক্ষণ ছিল বোটের শব্দ। সড়ক ও যোগাযোগের উন্নতিতে ইঞ্চিন চালিত বোটের কদর কমে যায়। অর্ধযুগ ধরে রাঙ্গুনিয়া কর্ণফুলী নদী পথে লোকাল বোট পরিবহন বন্ধ রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে রাঙ্গুনিয়া জুড়ে প্রায়ই সবখানে কম-বেশী আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। পাড়া-মহল্লা ও গ্রামের আনাছে-কানাছে সবখানে সড়ক নির্মিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন ঘটেছে।

কর্ণফুলী নদীতে যাত্রী সংকটের কারনে ইঞ্চিন চালিত বোট বন্ধ করে দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের সাথে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার কোদালা, শিলক, সরফভাটা, পদুয়া ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ একযুগ পূর্বে ও নদীপথ ছিলই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার থেকে রাইখালী, কোদালা, শিলক পর্যন্ত লোকাল বোট চলাচল করতো। উপজেলা সদর ইছাখালি থেকে সরফভাটা, শিলক ও কোদালা পর্যন্ত যাতাযাত এবং গোডাউন, গোছরা থেকে সরফভাটার চিরিংগা ফরেষ্ট অফিস, বেতাগী সহ বিভিন্ন এলাকায় নৌ পথে ইঞ্চিন চালিত বোটে যাত্রীরা চলাচল করত।

সরফভাটা গ্রামের বোট মালিক সৈয়দুল হক বলেন, গোডাউন ব্রিজ হওয়ার পর থেকে নৌকা, সাম্পান ও ইঞ্চিন চালিত বোটের কদর কমতে শুরু করে। ব্রিজ হওয়ার পূর্বে শতশত নৌকা মাঝি যাত্রী পারাপার করে সংসার চালাতো। এছাড়াও বিগত সাড়ে ৯ বছরে রাঙ্গুনিয়ার এমন কোন জায়গা নেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সড়ক পথ হওয়ায় মানুষের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সড়ক পথে সহজেই দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ায় মানুষ গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে। নদীপথে মানুষের যাতাযাত কমে যাওয়ায় নৌকা ও বোট মালিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। ফুরিয়ে যাচ্ছে মাঝিদের সোনালি দিন। বাধ্য হয়ে অধিকাংশ মাঝি-মাল্লারা এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। এক সময় উন্নত সড়কপথ না থাকায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতেও নৌকা, সাম্পান, বোট ছিলো একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেই সোনালি দিন এখন আর নেই। চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী নদীর খেয়ার মাঝি রনজিত বলেন, চলি¬শ বছর ধরে নদী আর জলের সাথে ছিলাম। কিন্তু এখন ঘাটগুলোতে সারাদিন বসেও যাত্রী মিলেনা। অপেক্ষায় অপেক্ষায় দিন চলে যায়। বাধ্য হয়ে এ পেশা ছেড়ে এন্য পেশায় যুক্ত হয়।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post