অসহায় নয়ন সোনাকে ঘর করে দিলো নুও স্ববন ফাউন্ডেশন
দহেন বিকাশ ত্রিপুরা: জেলার পানছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড প্রত্যন্ত দেবেন্দ্র পাড়ার অসহায় নয়ন সোনাকে স্বেচ্ছাশ্রমে ঘর করে দিলো নুও স্ববন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে করে জানা যায়, দুর্গম পাহাড়ী এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকায় স্বামী সন্তানহীন মৃত দিনেশ্বর চাকমার মেয়ে নয়ন সোনা চাকমা পলিথিন টানিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলো। অসহায় মানুষের জন্য কাজ করা নতুন সংগঠন নুও স্ববন বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশনের নজরে আসলে তারা খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের দৃস্টিগোচর করে। জেলা প্রশাসক নয়ন সোনাকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন।
নয়ন সোনা চাকমা বলেন, প্রত্যন্ত পাহাড়ী এলাকায় গাছ-টিন ও গৃহ নির্মানের সামগ্রী পরিবহন কষ্টকর। আমি একা মানুষ ,আমার কেউ নাই। এছাড়াও ১০ হাজার টাকায় ঘর বানানোও যায় না। এমন সময় আবারো নুও স্ববন বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রজ্ঞা বিজয় চাকমা, ক্যাচিং মগ, সুখময় দেওয়ান, চম্পা চাকমা, জুনেল চাকমা,প্রিয়শী চাকমাসহ যারা ৩ কিলোমিটার পাহাড়ী রাস্তায় মাথায় কাঁধে করে মাল পরিবহন করে নিজেরাই ঘর নির্মান করে দিয়েছে। তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ। যারা আমার ঘরের কাজ করে দিয়েছেন তারাই আমার ভাই বোন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য সারণ কুমার চাকমা জানান, প্রত্যন্ত পাহাড়ে নয়ন সোনা চাকমার মতো আরো অনেক অসহায় সোনারা পড়ে আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় তাদের খোজ খবর অনেকেই পায় না। আমরা সকলেই মানবতার ফেরী হলে প্রত্যন্ত পাহাড়ী এলাকার মানুষের অনেক দুঃখ কষ্ট কমতো।
নুও স্ববন বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রজ্ঞা বিজয় চাকমা জানান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক নয়ন সোনা চাকমাকে ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। আমরা আরো প্রায় ৩০ হাজার টাকা যোগান দিয়ে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে ঘর বানিয়ে দিই। সাথে প্রযোজনীয় হাড়ি পাতিল ও শীতবস্ত্র দিয়েছি। তাকে যদি একটি সৌর সোলার প্যানেল দিতে পারলে ভালো হতো। তারপরও আমরা চেষ্টা করবো। এছাড়া ও আমাদের নুও স্বপন বুড্ডিস ফাউন্টডেশন অসহায় গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার খরচ, রক্ত দান সহ অসহায়দের বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে থাকি।