রামগড় প্রতিনিধি: রামগড়ে ঈদের দিন গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত সিরাজুল ইসলামের মায়ের আহাজারী থামছে না। ঘটনার তিনদিনপর তার ভাই'র বাসায় নিহত সন্তানের মাতার
রামগড় প্রতিনিধি: রামগড়ে ঈদের দিন গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত সিরাজুল ইসলামের মায়ের আহাজারী থামছে না। ঘটনার তিনদিনপর তার ভাই’র বাসায় নিহত সন্তানের মাতার সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি এটিকে কোনভাবে আত্নহত্যা বলে মেনে নিতে পারছেন না। তার দাবী প্রথম স্ত্রী নার্গিস সুলতানা তার ছেলেক পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্নহত্যা বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি দাবী করেন তার ছেলে যদি আত্নহত্যাই করতো, ঝুলন্ত অবস্থায় থাকতো- পুলিশই লাশ উদ্ধার করতো। আমিতো তাকে বিছানায় পেয়েছি।আমার এ ছেলে আমাকে দেখভাল করতো,এখন আমাকে কে চাইবে- এ বলে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছিলেন।
অনেক কষ্টে এ ছেলেদের মানুষ করেছেন দাবী করে কান্না ভরা কন্ঠ বলেন, টাকা পয়সা কিছুই চাই না- আমার একটাই চাওয়া উপযুক্ত বিচার। এ দিকে সিরাজুল ইসলাম এর লাশ ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করলে তার মামার বাড়ী রামগড়ের পাশ্বর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার গার্ডের দোকানস্থ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
উল্লখ্য যে, সিরাজুল ইসলাম (৩২) নামে দুই সন্তানের জনক লাশ ঈদের দিন দুপুরে রামগড় পৌরসভার ফেনীরকুল এলাকায় প্রথম স্ত্রী নার্গিস সুলতানার বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এটি হত্যা না আত্নহত্যা এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে চলছে নানান কথা।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন,পারিবারিক কলহ ও অশান্তির কারণেই এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীত্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।