আবারও বন্যাকবলিত দীঘিনালা, ৮হাজার পরিবার পানিবন্দি

মো: আল আমিন,দীঘিনালা: কয়েকদিনের দিনের টানা বর্ষন আর পাহাড়ি ঢলে আবারো প্লাবিত হয়েছে দীঘিনালার নিম্মঞ্চল। বিভিন্ন এলাকার সড়ক ডুবে যাওয়ায় দীঘিনালার সাথে রাঙ্গামাটির পর্যটন এলাকা সাজেক এবং লংগদুর সাথে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ন বন্ধ রয়েছে। মেরুং, কবাখালি এবং বোয়ালখালি (সদর) দীঘিনালা ও বাবছড়া ইউনিয়নে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন, বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ এবং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ্য থেকে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন এবং আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার বিতরন করা হচ্ছে। মাত্র ১৮ দিনের ব্যাবধানে আবারো বন্যা কবলিত হলো দীঘিনালা। তার মাসখানেক আগে আরেকবার বন্যা হয়েছিল।
২ মাসের মধ্যে দীঘিনালাতে এটি তৃতীয়দফায় বন্যা। তবে আগের বন্যার চেয়ে এবারের বন্যার পরিধি অনেক বেশি। এবারের বন্যায় পানিবন্দি হয়েছে মেরুং, কবাখালি ও বোয়ালখালি (সদর) ইউনিয়নের প্রায় ৮হাজার পরিবার। বাবুছড়া ও দীঘিনালা ইউনিয়নের নিন্মঞ্চলের কিছু এলাকার পরিবারও পানিবন্দি রয়েছে। এদিকে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের কবাখালি, বাঘাইহাট, গঙ্গারাম, এবং মাচালং এলাকার সড়ক পানির নিচে থাকায় বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ। অপরদিকে, দীঘিনালা-লংগদু সড়কের বেলছড়ি, বেতছড়ি, বড়মেরুং এবং ছোটমেরুং বাজার এলাকার সড়ক পানির নিচে থাকায় লংগদুর সাথেও বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ। বন্যা কবলিত হয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপজেলার মেরুং, কবাখালি এবং বোয়ালখালি (সদর) ইউনিয়ন। মাঈনী নদীর দুকুল প্লাবিত হয়ে নিন্মঞ্চলের মানুষের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করে। বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুনুর রশীদ বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন এবং আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুরে এসে জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
সেখানে আশ্রিতদের শুকনা খাবার দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সফি জানান, জেলা বিএনপি’র সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়ার নির্দেশনায় নেতাকর্মীদের নিয়ে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনসহ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের মাঝে ব্যাক্তিগত অর্থায়নে খাবার বিতরন করা হচ্ছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদগুলোর পক্ষ্য থেকেও শুকনা খাবার সরবরাহসহ তদারকি করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগন।