আরব আমিরাতে করোনা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন বাংলাদেশী তরুনরা
এম এস আকাশ, ফটিকছড়ি: সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি একে নির্মূল করার উপায় খুঁজছেন তখন ভ্যাকসিন তৈরি ও তার কার্যকারিতা পেতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চীনের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের ক্লিনিকেল ট্রায়াল। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) তে এমন ট্রায়ালে ভলান্টিয়ার হিসেবে বাংলাদেশী যুবকদের সেচ্ছায় অংশ গ্রহণ বেশ লক্ষ্যনীয়।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের শাহনগর গ্রামের পুত্র মো. জিয়াউল হাসান পারভেজ গত ২৫ আগষ্ট ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই করোনা ভাইরাস নির্মূলে ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ওপর ‘ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশী তরুন ব্যবসায়ী জিয়াউল হাসান পারভেজ জানান, নিজের আগ্রহ থেকেই আরব আমিরাত সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিন নিয়েছি। যখন জানতে পারলাম যে, করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী নেয়া হচ্ছে, তখন আমিও ইন্টারনেটে নাম তালিকাভুক্ত করি। এরপর কয়েকদিন পরে আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। তারপর গত ২৫ আগস্ট ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগ করেছে। ২১ দিন পরে আবার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করবে। এখানকার চিকিৎসকরা সার্বক্ষনিক ফোন করে আমার খোঁজ নিচ্ছেন।
অপর সেচ্ছাসেবী চট্টগ্রামের সন্তান সৈয়দ আজিজ আমিরাতের দুবাইতে ব্যবসা করেন। দুবাই থেকে শারজাহ তে গিয়ে তিনি গত ১৬ আগস্ট সিনোফার্মের তৃতীয় ধাপের ভ্যাকসিন নেন। তিনি জানান, বাংলাদেশী তরুন যুবকদের করোনার ভ্যাকসিন নিতে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে। আমাদের অনেক স্বজন এই ভ্যাকসিন ড্রোজ গ্রহণ করেছেন।
জানা গেছে, সেখানে বসবাসকারীরা করোনাকে পরাজিত করতে এ ট্রায়ালে অংশ নিতে বেশ সাড়া দিচ্ছে। ভ্যাকসিনটি চীনের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের আবিষ্কৃত। এখানে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের অবশ্যই ১৮-৬০ বছর বয়সী হতে হবে এবং অতীতে তাদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ভ্যাকসিন নিতে পারবে না।