আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে খাগড়াছড়ি ২৯৮ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ও নির্বাচনী হালচাল
এস. এম. ইউছুফ আলী, খাগড়াছড়ি: তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি ভূগলিক দিক থেকে অত্যান্ত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে বসবাস করেন বিভিন্ন ভাষার লোক, রয়েছে হরেক রকম সংস্কৃতি ও কৃষ্টি। এখানে রয়েছে জাতীয় দলগুলোর পাশা-পাশী স্থানীয় বা আঞ্চলিক দল যেমন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস ), জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ প্রসিত) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (গণতন্ত্র)। এসব কারণেই অন্যান্য নির্বাচনী এলাকা থেকে এই ২৯৮ নং আসনটির ভোটের হিসাব অনেকটাই ভিন্ন। প্রতিটি নির্বাচনেই দেখা যায় জাতীয় দল গুলোর পাশাপাশী আঞ্চলিক দল গুলোও তাদের নিজস্ব প্রার্থী দেন, তাই ভোটের ভাগাভাগি ও ভোট প্রার্থনার কৌশলও হয় ভিন্ন। খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪লাখ ৪১হাজার ৬৯ এর মধ্যে পুরুষ ২লাখ ২৬হাজার ৮৬৯ মহিলা ২লাখ ১৪হাজার ১৯৯ জন।
খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর প্রার্থী চার জন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, যতিন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সমির দত্ত চাকমা ও চাইথো অং মারমা, বিএনপি প্রার্থী দুই জন ওয়াদুদ ভূইয়া ও সমিরণ দেওয়ান এবং জাতীয় পার্টি প্রার্থী দুই জন সোলায়মান আলম শেঠ ও মনীন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্তমান সংসদ সদস্য, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদশে আওয়ামী লীগ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি। তিনি খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বলেন বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার প্রচুর উন্নয়ন ও মানব কল্যাণে কাজ করেছে তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত।
যতিন্দ্র লাল ত্রিপুরা তিনি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য। তিনি বলেন আমি যখন সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলাম, তখন দলের মধ্যে কোন গ্রুপিং হতে দেইনি এবং আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনকে কোন বিষয়ে বঞ্চিত হতে দেইনি, পাহাড়ী-বাঙ্গালী তথা সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সুস্পর্ক অটুট রাখতাম এবং অসাম্প্রদায়িক ভাবে উন্নয়ন ও সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতাম। তিনি আরো বলেন এই সকল কারণে আমি যতবারই নির্বাচন করেছি ততবারই প্রচুর ভোট পেয়ে পাশ করেছি, তাই আমার দৃঢ় বিশ^াস এবার আমাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে।
সমির দত্ত চাকমা তিনি বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পানছড়ি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি বলেন আমি অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে কাজ করি তাই সকল সম্প্রদায় থেকে আমার প্রতি আস্তা ও বিশ^াস আছে , ফলে আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি প্রচুর ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে এই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব। তিনি আরো বলেন আমি গত বারও মননোয়ন চেয়েছিলাম কিন্তু আমাকে দেয়া হয়নি, তাই এবার আমাকে মননোয়ন দেয়া হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ^াস।
চাইথো অং মারমা তিনি বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এছাড়াও খাগড়াছড়ি মারমা উন্নয়নের সংসদ এর সভাপতি, খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য, ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বলেন আমি বিভিন্ন পদে থাকা অবস্থায় প্রচুর উন্নয়ন মূলক কাজ করেছি এবং দলের মধ্যে সকল স্তর থেকে আমার প্রতি সকলের ভালবাসা ও আস্তা-বিশ^াস আছে। এই সকল দিক বিচার-বিশ্লেষন করে আমাকে এই আসনে মননোয়ন দেয়া হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ^াস।
কংজরি চৌধুরী বর্তমান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এক প্রশ্নের জবাবে সাব জানিয়েদেন তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।
সৌরভ তালুকদার খাগড়াছড়ি জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বলেন বিশেষ করে খাগড়াছড়ি আসনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিভিন্ন দিক বিচার বিশ্লেষন করে প্রার্থীতা নির্বাচন করেন, তাই প্রায় বারবারই এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়। তাই আমি মনে করি প্রার্থীতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এবারও এর কোন ব্যাতিক্রম হবে না, তবে যাকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেবে আমরা সবাই তার পক্ষেই কাজ করে আমাদের বিজয় ছিনিয়ে আনব।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী (অপু) বলেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন বর্তমান সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নেতৃত্বে এক আছে, তাই তিনিই এবারো মনোনয়ন পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।
ওয়াদুদ ভূইয়া তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য, পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন র্বোডের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন পদে থাকাকালীন সময়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ও সকলের কল্যাণে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, তাই এই আসনে প্রচুর বিএনপি ভক্ত ও সর্মথক আছে। তিনি আরো বলেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ অবাদ ও নিরপেক্ষ হলে ধানের শীষ প্রতীকে বিপুল ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই আসন উপহার দিতে পারব।
সমীরণ দেওয়ান বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর নির্বাহী সদস্য। তিনি খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার পরিষদের চেয়ারম্যান ও শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বলেন গত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল, তাই আশা করছি এবারও আমাকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন যদি কোন কারণে আমাকে মনোনয়ন দেয়া না হয়, তবে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার জন্যই আমি কাজ করব।
খাগড়াছড়ি জেলা শাখার জাতীয়তাবাদী তৃনমূলের সাধারণ সম্পাদক বিধরশি চাকমা বলেন আমি আশা করছি সমীরণ দেওয়ান মনোনয়ন পাবেন, কারণ তিনি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন তিনি যদি দল থেকে মনোনয়ন না পান তবে, যিনি মনোনীয়ন পাবেন তার পক্ষেই আমরা সবাই কাজ করব।
খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল বলেন ওয়াদুদ ভূইয়া হলেন জাতীয়তাবাদী দলের পরীক্ষিত সৈনিক ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন এবং তার নেতৃত্বে খাগড়াছড়ির জেলার জাতীয়তাবাদী দল ও সকল অঙ্গ-সংগঠন ঐক্যবদ্ধ, তাই তিনিই খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং আসনে জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তিনি আরো বলেন ওয়াদুদ ভূইয়ার কোন বিকল্প নেই, তাই তিনিই খাগড়াছড়িতে জাতীয়তাবাদী দল থেকে একক প্রার্থী।
সোলায়মান আলম শেঠ বর্তমান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শাখার সভাপতি। তিনি গত নির্বাচনে খাগড়াছড়ি ২৯৮ আসনে জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে অকৃকার্য হয়েছেন। তিনি বলেন আমি আওয়ামী লীগের মহাজোট থেকে মনোনয়ন চাইবো, যদি আমাকে এই আসনে মহাজোট থেকে মনোনিয়ন দেয়া হয় তবে আমি আগামী নির্বাচনে এখান থেকে নির্বাচন করব, আর যদি মনোনয়ন না পাই তবে নির্বাচন করব না। এ ক্ষেত্রে অন্য কাউকে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে।
মনীন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্তমান যুগ্ন-আহবায়ক খাগড়াছড়ি জেলা জাতীয় পার্টি। তিনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন র্বোডের জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বলেন, আমি দল থেকে খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং আসনে মনোনয়ন চাইব, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তবে আমি নির্বাচন করব, আর যদি অন্য কাউকে দেয় তবে তার পক্ষেই কাজ করব। তিনি আরো বলেন আমি যেহেতু এখানকার স্থানীয় তাই আমার দৃঢ় আশা দল আমাকে মনোনয়ন দিবে।
জাতীয় পার্টি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার যুগ্ন-আহবায়ক মোঃ জিল্লুর রহমান ও মোঃ কাশেম বলেন, খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং আসনে সোলায়মান আলম শেঠ নির্বাচন করবেন। তারা আরো বলেন যদি সোলায়মান আলম শেঠ এই আসন থেকে নির্বাচন না করেন, তবে আমরা এই আসনে মনীন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির কাছে আবেদন জানাবো। তারা বলেন খাগড়াছড়িতে মনীন্দ্র লাল ত্রিপুরার অনেক সুখ্যাতি, জনপ্রিয়তা, উনার কিছু ভোট ব্যাংক আছে এবং তিনি এখানকার স্থানীয় তাই উনি মনোনয়ন পেলে পাশ করানো খুব সহজ হবে।
স্থানীয় আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (প্রসিত) সূত্রে জানা গেছে, তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা প্রার্থীর বিষয় ও নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তবে নির্বাচনে সরাসরী অংশগ্রহণ করা বা পরোক্ষ ভাবে অংশগ্রহণ করা বা না করা ইত্যাদি বিষয় নির্ভর করছে পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর।
জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) সূত্র জানান তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবেন এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই, তবে এটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হতে পারে। এই বিষয়ে আরো পরে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (গণতন্ত্র) সূত্র জানান তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরোক্ষ ভাবে অংশ নিবেন, তবে কোন দলকে সর্মথন দেয়া হবে সেটি মোটামোটি সিদ্ধান্ত হলেও এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
বিভিন্ন সচেতন মহল থেকে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ সংসদীয় আসন থেকে জয়লাভ করা খুবই সহজ হবে, যে দলকে জন সংহতি সমিতি ( এমএন লারমা) এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (গণতন্ত্র) সর্মথন দিবে।
সূত্র আরো জানান স্থানীয় আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (প্রসিত) বিশেষ করে খাগড়াছড়িতে খুবই শক্তিশালী ছিল। তারা কয়েক বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে প্রচুর ভোট পেয়েছেন, যদিও একবারও বিজয়ী হতে পারেননি। তবে এবার বিজয় হবার সম্ভাবনা ছিল, যদিনা তাদের মধ্যে দলীয় বিভাজন হত। সম্প্রতি ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (প্রসিত) থেকে একটি অংশ বের হয়ে নতুন একটি দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (গণতন্ত্র) নামে সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে এই দলটি দুর্বল ও বেকায়দায় পরেছে বলে সচেতন মহল জানান।
এটি বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ নং আসনে প্রতিযোগীতা হবে মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র মধ্যে। তবে আর যাই হোক জন সংহতি সমিতি ( এমএন লারমা) এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (গণতন্ত্র) এর সর্মথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, তাই এটি দেখার বিষয় যে জন সংহতি সমিতি (এমএন লারমা) এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (গণতন্ত্র) কোন দিকে সর্মথন দিচ্ছে।