আসুন ভিক্ষুকমুক্ত সমাজ গড়ি -পানছড়ি ইউএনও
পানছড়ি প্রতিনিধি: যারা ভিক্ষুক পেশায় রয়েছে তাদের বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, উপজাতীয় ও অ-উপজাতীয়দের গুচ্ছগ্রামে অন্তরভূক্ত করাসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা প্রদান নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নগদ অর্থ ও গবাদি পশু প্রদান পূর্বক পূর্ণবাসন করে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলাকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হবে। ইতি মধ্যে ২০ ভিক্ষুককে নগদ অর্থ ও গবাদি পশু প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচিতে গবাদিপশু ও নগদ অর্থ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ বির্নিমাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় পানছড়ি উপজেলায় ২য় পর্যায়ে ১২জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। সমিতিভুক্ত করে তাদের জন্য এক লক্ষ বিরানব্বই হাজার টাকার সঞ্চয় তহবিল অনুদান দেওয়া হচ্ছে। সরকার কর্তৃক ইতিমধ্যে তাঁদের সমিতিতে আরো ঘূর্ণায়মান ঋণ তহবিল বাবদ চার লক্ষ বিরানব্বই হাজার টাকা জমা হয়েছে। যা দিয়ে তাদেরকে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করা হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সতীশ চন্দ্র চাকমা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রতœা তঞ্চঙ্গ্যা, একটি বাড়ি একটি খামারের সমন্বয়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম, ৩নং পানছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাজির হোসেন, ৪নং লতিবান আইাপ চেয়ারম্যান কিরণ ত্রিপুরা, ৫নং উল্টাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় চাকমা, ২নং চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালাচাঁদ চাকমা প্রমূখ।
এ সময় পুনর্বাসন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারী ভিক্ষুক আলফত বেগম, বাসুতি ত্রিপুরা, সেনাজান বেওয়া, জমিলা খাতুন ও জানু সাঁওতাল, জলফা সাঁওতাল ভিক্ষাবৃত্তির করবে না মর্মে অঙ্গিকার করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন বিকেলে ইফতার পূর্ব পানছড়িতে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টান্সফোর্স চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।