উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে মাটিরাঙ্গাবাসীর পাশে থাকতে চাই- ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হাছিনা
মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি: ৫ম মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিসেস হাছিনা বেগম বলেছেন,বঙ্গকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে সারা দেশের মতো মাটিরাঙ্গা উপজেলাতেও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যে পরিমাণ উন্নয়ন কার্যক্রম বা প্রকল্প চলমান রয়েছে- তা বাস্তবায়নে আমি ৫ম উপজেলা পরিষদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মাটিরাঙ্গাবাসীর পাশে থেকে কাজ করতে চাই। ১৮ ফেবব্রুরি দুপুরে নির্বাচনী মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার পিতার নাম মো: সাহেব আলী মাষ্টার, আমি আওয়ামী ঘরানার মেয়ে, আমার বাবা ছিলেন ২০০৮ সালে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও ১৯৭১ সালে সংগঠিত মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সফল সংগঠক । এ ছাড়া তিনি মাটিরাঙ্গা উপজেলার ২নং তবলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। আমার মা জাহানারা বেগম ছিলেন, ২নং তবলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মহিলা সম্পাদিকা ও দুই বারের নির্বাচিত সাবেক মহিলা মেম্বার। আমার চাচা নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো: আজগর আলী, বর্তমানে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ‘এর উপদেষ্টা। তিনি ১৯৮৬ সালে ১নং তাইন্দং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন এবং ২০১১ সাল পর্যন্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পারিবারিক সূত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আমার রাজনৈতিক প্রেরণা। একাধিক বার বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের আমলে পুলিশ ও ছাত্রদল ক্যাডারদের দ্বারা বিভিন্ন শারিরীক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এতকিছুর পরও সকল বাঁধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আদর্শ থেকে ফিরে আসিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও গ্রামকে শহরে রুপান্তর করার লক্ষে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর জন্যে দায়িত্বের সহিত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছি। আল্লাহ সহায় হলে ভবিষ্যতেও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবসময় রাজপথে সোচ্চার থাকার আশা রাখি।
আমার শরীরে আওয়ামীলীগের রক্ত বইছে, আমি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যোগ্যতম সম্মান দিতে কপটতা করি না, কাউকে কখনো অসম্মান করিনি আর কখনো করবোও না। যতদিন বাঁচবো আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক আদর্শকে বুকে লালন করে বাঁচবো। নিজের ব্যক্তিগত আরাম আয়েশকে কোনদিন প্রাধান্য দিই নি। ব্যক্তিগত জীবনের চেয়েও অনেক সময় রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে আমার নেশা।
মানুষের সুখে ও দু:খে পাশে দাড়ানোর ইচ্ছাটা প্রবল বিধায় আবারও নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছি। আমি ব্যক্তিভাবে বিশ্বাস করি, অতীত জীবনের নানা কর্মকান্ড ও পারিবারিক ঐতিহ্যর প্রতি দৃষ্টিপাত করলে আমাকে ভালবেসে সবাই আমার পাশে থাকবেন। তাই সকলের তরে দোয়া, ভালবাসা ও সহযোগিতার পাশাপাশি আগামী দিনগুলোতেও আপনাদের সেবা করার জন্য মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন এই প্রত্যাশা করছি ।