করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখতে মানিকছড়ি সকল ইউনিয়নে বরাদ্দ ছাড়
মানিকছড়ি(খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: করোনা’র কবলে গৃহবন্দি থাকা দরিদ্র ও অতি-দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখতে মানিকছড়িতে জনসংখ্যা ও আয়তন ভিত্তিক ত্রাণের বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অনুকূলে ৪ এপ্রিল ছাড় করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা ৬ ও ৭ এপ্রিল ১০ কেজি হারে এ ত্রাণ পাবেন। এদিকে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও ত্রাণ বিতরণ বাড়ছে জনপদে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনা’র প্রাদূর্ভাবে গৃহবন্দি কর্মহীন দরিদ্র ও অতি-দরিদ্র জনগোষ্ঠির ১হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চাল ও কিছু শুকনা খাবার গত ২৬ মার্চ থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া নিজ উদ্যোগে জনপ্রতিনিধিরাও ত্রাণ বিতরণ করছেন তৃণমূলে। কিন্তু তাতেও কর্মহীন সকলের মাঝে ত্রাণ পৌছানো সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে বঞ্চিত জনগোষ্ঠির মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র অগ্রাধিকার তালিকা ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
ফলে আবারও জি.আর বরাদ্দ থেকে ১০ মে. টন চাউল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। ৪ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ উক্ত বরাদ্দ অনুমোদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যায় ৫০% এবং আয়তনে ৫০% অনুপাতে ১নং মানিকছড়ি ইউপি’র জনসংখ্যা ২১ হাজার ৫শ ৯৮ জন, আয়তন ১০ হাজার ৮শ ৮০ একরে বরাদ্দ ৩ মে.টন ত্রাণ পাবেন ৩শত জন। ২ নং বাটনাতলী ইউনিয়নে জনসংখ্যা ১২ হাজার ৬শ ৮১জন, আয়তন ১১ হাজার ৫শ ২০একরে বরাদ্দ ২দশমিক ৫ মে.টন, ত্রাণ পাবেন ২শত ৫০জন।। ৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়নে জনসংখ্যা,১১ হাজার ৩শ ৫৬ জন,আয়তন ৮ হাজার ৩শ ২০ একরে বরাদ্দ ২ মে.টন,ত্রাণ পাবেন ২শ জন। ৪ নং তিনটহরী ইউনিয়ন জনসংখ্যা ১৫ হাজার ৯শ ৫৪ জন, আয়তন ১০ হাজার ৮শ ৮০ একরে বরাদ্দ ২ দশমিক ৫ মে.টন, ত্রাণ পাবেন ২ শ ৫০ জন।
আগামী ৬ এপ্রিল মানিকছড়ি ও তিনটহরী ইউপিতে এবং ৭ এপ্রিল বাটনাতলী ও যোগ্যাছোলা ইউপিতে ত্রাণ বিতরণ করবেন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। এদিকে ৪ এপ্রিলও উপজেলা বিভিন্ন জনপদে ত্রাণ বিতরণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। করোনা’র কারণে কর্মহীন মানুষকে গৃহে বন্দি রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনকে। শনিবার উপজেলা সদরের হাটবার থাকায় সকাল থেকে লোকজন দলে দলে কাঁচা তরু-তরকারী নিয়ে বাজারে আসলেও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কারণে দুপুরের আগেই তাদেরকে বাজার ত্যাগ করতে হয়েছে।
নতুন বরাদ্দ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ বলেন, উপজেলা দরিদ্র জনগোষ্ঠির চলাফেরায় প্রশাসনিক কড়াকড়িতে কাজ-কর্ম নেই। ফলে খাবার-দাবারে কিছুটা কষ্ট পাচ্ছে লোকজন। আমরা চেষ্টা করছি সরকারী বরাদ্দ যথাযথভাবে ঘরে ঘরে পৌছে দিতে। সরকারের পাশাপাশি আরো কিছু ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে এলে মানুষজন কষ্ট পাবে না।