কাপ্তাইয়ে স্বাক্ষর জাল করে ইউপি চেয়ারম্যানকে হয়রানী
কাপ্তাই(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে হয়রানী করছে একটি মহল। টাকা পাবে মর্মে পরিষদের প্যাডে অঙ্গীকার নামা লিখাসহ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগ নেতা মো. আব্দুল লতিফ চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ঘটনায় সমগ্র উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান বলেন, দেলোয়ার হোসেন ওরফে নফর আলী কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মালামাল ক্রয় বাবদ ১৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে গত ২৫ জুন ২০১৮ইং একটি লিগ্যাল নোটিশ দেন। উক্ত টাকা আদায়ের লক্ষ্যে নফর আলী রাঙ্গামাটি জেলা চীফ জুডিসিয়াল আদালতে ২৮/০৮/২০১৮ইং তারিখে একটি হয়রানী মূলক মামলা দায়ের করেন। এছাড়া উক্ত নফর আলী চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতি ও ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক কাজে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাড ব্যবহার করেন।
ইউপি সদস্য সমলেন্দু বিকাশ দাশ বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। অভিযোগকারী নিজেই একজন মাদকাসক্ত, ঝগড়াটে, ভুমিখেকো, সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে এলাকার বিভিন্ন সম্মানি ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলা নিস্পত্তি করার অভিযোগ রয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারন মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানী করছে।
কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ জানান, নফর আলীর সাথে আমার কোন আর্থিক লেনদেন নেই। ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য টাকা পাওনার নামে নফর আলী অঙ্গীকার নামা প্যাড এবং আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মিথ্যা প্রমাণ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ নফর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে এ প্রতিবেদককে জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থের লেনদেনের ব্যাপারে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেছি। আমি কারও বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনোদিত অভিযোগ দাখিল করিনি।
গতকাল মঙ্গলবার কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে ইউপি সদস্যের উদ্যোগে চেয়ারম্যান আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানীর প্রতিবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য সমলেন্দু বিকাশ দাশ, নবীন কুমার তনচংগ্যা, সুইউপ্রু মারমা সুপ্রিয়, আবু সালেহ, আবদুল আহাদ সেলিম, জাহেদুল ইসলাম, জোবেদা আক্তার লাভলী, রুপা তনচংগ্যা, সুজয় বিকাশ চাকমা, হেডম্যান থোয়াই অং মারমা, মহিন উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নুর উদ্দিন সুমন প্রমুখ।