শান্তি রঞ্জন চাকমা: কাপ্তাইয়ে অভিনব পন্থায় পাচার করার সময় সোমবার অভিযান চালিয়ে ৬১ লিটার পাহাড়ি চোলাইমদ সহ আসমা বেগম নাছিমা (৪৫), মো: রাসেল মিয়া (শান্ত
শান্তি রঞ্জন চাকমা: কাপ্তাইয়ে অভিনব পন্থায় পাচার করার সময় সোমবার অভিযান চালিয়ে ৬১ লিটার পাহাড়ি চোলাইমদ সহ আসমা বেগম নাছিমা (৪৫), মো: রাসেল মিয়া (শান্তা হিজড়া), জেসমিন আক্তার সাথী (৪৩) তিন মাদক পাচারকারীকে কাপ্তাই থানা পুলিশ আটক করে। ধৃতদের গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের রেশমবাগান এলাকায় প্লাস্টিকের ব্যাগে অবৈধভাবে চোলাই মদ পাচারকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন এবং উপ পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ মোরশেদ আলম নেতৃত্বে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ সহ ৩ জন নারী মাদক পাচারকারীকে আটক করে।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকা, কলাবাগান, বারঘোনিয়া সিনেমা হল এলাকা, কাটাপাহাড়, ফকিরাঘোনা, সাদেক্কাঘোনা, মিতিঙ্গাছড়ি, বরইছড়ি, নোয়াপাড়া, মুরালিপাড়া, দোলন্ন্যা, নুনছড়ি, ওয়াগ্গা, চিৎমরম, ব্যাংছড়ি, কাপ্তাই ঢাকাইয়া কলোনী, লকগেইট, কাপ্তাই নতুন বাজার, মুরগির টিলা, কেপিএম টিলা, জেডিঘাট, রাইখালী নোয়াপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় চোলাইমদ, ইয়াবা ট্যাবলেট, হিরোইন, গাঁজা দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। চন্দ্রঘোনা দোভাষীবাজার আমতলী এলাকায় কর্ণফুলী নদীর ধারে একটি ভবন ভাড়া নিয়ে হিজরা (তৃতীয় লিঙ্গ) দলবদ্ধ ভাবে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। হিজরাদের মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নানা মাদকদ্রব্য খুব সহজেই খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এছাড়াও বনশ্রী পর্যটন কমপ্লেক্স সহ কাপ্তাই কয়েকটি আবাসিক হোটেলে আসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজাতীয় পল্লীগুলোতে চলছে পাহাড়ি চোলাইমদের জমজমাট ব্যবসা। শতশত পরিবার চালাইমদ তৈরী করছে। অবৈধ মদের মহাল থেকে দৈনিক হাজার হাজার লিটার পাচার করা হয় কর্ণফুলী নদী ও সড়কপথে। বিভিন্ন অভিনব কায়দায় বোরকা পরিহিত মহিলা ও শিশু-কিশোর দিয়ে টাকার বিনিময়ে চোলাইমদ বহন করা হয়। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের অভিযানে মাদক বহনকারীরা ধরা পড়লেও মুল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
কাপ্তাইয়ে একাধিক স্পটে মাদক, জুয়া, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী, কাঠ পাচার, বিভিন্ন অপরাধের জায়গা থেকে পুলিশের নামভাঙ্গিয়ে কথিত ক্যাশিয়ার দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে মাসোহারা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরাধ নির্মূলে উর্দ্ধতন প্রশাসন আন্তরিক হলেও মাঠ পর্যায়ে পুলিশ সদস্য ক্যাশিয়ারের কারনে অপরাধ রোধ করা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। কাপ্তাই সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েত কাউছার বলেন, মাদকের উৎস, অর্থদাতা এবং যোগানদাতাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। চোলাইমদ উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে কাপ্তাই থানায় মামলা হয়েছে।