কাপ্তাই রাইখালীতে অস্ত্রের মুখে ইউপি সদস্য অপহরণ, মানববন্ধন
কাপ্তাই প্রতিনিধি: কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মংচিং মারমা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরনের ১০দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসন উদ্ধার করতে পারেনি। অপহৃত ইউপি সদস্য মংচিং মারমার উদ্ধারের দাবীতে গতকাল বৃহষ্পতিবার চন্দ্রঘোনা-বান্দরবান সড়কে শতশত এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
প্রতিবাদ সভায় অপহৃতের বড় ভাই আবু মং মারমা বলেন, আমার ভাইকে যারা অপহরণ করেছে অভিলম্বে তাদের নিকট অনুরোধ জানান অন্তত তার ছোট শিশু সন্তানের দিকে তাকিয়ে অতিশয় মংচিংকে মুক্তি দেওয়া হয়। ইউপি সদস্য মংনু চিং মারমা বলেন, রাইখালী এলাকা এখন সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। একের পর এক হত্যা, অপহরণ ও ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটায় এলাকাবাসী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। তিনি অবিলম্বে ইউপি সদস্য মংচিং এর মুক্তির দাবি জানান। রাইখালী ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন বলেন, রাইখালীতে অপহরণ সহ একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটলেও অপহৃতদের উদ্ধারে প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে পড়ার মতো নয়।
রাইখালী ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক বলেন, একের পর এক রাইখালীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস, অপহরণ ও হত্যা সহ সর্বশেষ ইউপি সদস্যকেই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হলেও তাকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃতের পরিবারের ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের দিকে তাকিয়ে হলেও তাকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন অপহৃতের স্ত্রী সামাউ মারমা, অপহৃতের মেঝ ছেলে হ্লাচাই মারমা, পরিবারের সদস্য, রাইখালী ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্য সহ ইউনিয়নবাসীগণ।
উল্লেখ্য, রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়ার নিজ ঘর থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারী রাত প্রায় ১১টায় ইউপি সদস্য মংচিং মারমাকে মুখোশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ২১ফেব্রুয়ারী অপহৃতের স্ত্রী চন্দ্রঘোনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।