খাগড়াছড়িতে চিকিৎসক সমাজকে হয়রানির অভিযোগ, বিএমএ’র বিবৃতি

শেয়ার করুন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার গোপনীয় মেডিকেল রিপোর্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) খাগড়াছড়ি শাখা।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএমএ খাগড়াছড়ি শাখা জানায়, স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে এবং রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু ওই রিপোর্ট গোপনীয় থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছানোর আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা আইনবহির্ভূত ও গুরুতর অপরাধের শামিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে কুরুচিপূর্ণ ও অসম্মানজনক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এতে জেলার চিকিৎসক সমাজ গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছে।
চিকিৎসক সমাজ স্পষ্ট জানায়, ভিকটিম ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না, তা আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। আদালত ভিকটিমের জবানবন্দি, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, স্বাস্থ্য ও নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট, সাক্ষীদের বক্তব্য এবং পুলিশের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে রায় প্রদান করেন। চিকিৎসকরা কেবল শারীরিক ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
বিএমএ খাগড়াছড়ি শাখা সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় চিকিৎসকদের রিপোর্ট ফাঁস করে সামাজিকভাবে হয়রানির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে যেন কেউ অপব্যাখ্যা না করে, সে আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চিকিৎসক সমাজ সবসময় নারী-শিশু নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরোধী।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) খাগড়াছড়ি শাখার সভাপতি
ডা. শহীদ তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. টুটুল চাকমা।