রহিম হৃদয়, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ১৭ মে বুধবার রাতে মানব প
রহিম হৃদয়, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ১৭ মে বুধবার রাতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ১০ ধারায়,১১ নং মামলাটি করা হলে,অভিযুক্তদের নিজ বাড়ি সদর উপজেলার গামারীঢালা থেকে আটক করা হয়। খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান ৪ জনকে আটক করার খবর নিশ্চিত করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আমেনা বেগম কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জেলা সদরের গামারীঢালা এলাকার তার নিজ বাড়িতে ভিকটিম কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে বাধ্য করেন পতিতা বিক্রি করতে। কিশোরীকে জোরপূর্বক আটকে রেখে চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন।
ভিকটিম কিশোরী জানান, কাজের সন্ধানে তিনি খাগড়াছড়ি বাজারে আসেন। তখন এক মহিলা তাকে মাসে ৪ হাজার টাকা বেতনে কাজের প্রস্তাবে বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়ি নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক তাকে পতিতা বিক্রির কাজে বাধ্য করা হয়। নিত্য নতুন খরিদ্দার দিয়ে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হতো মহিলার বাড়িতে। গত মঙ্গলবার সুযোগ পেয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেন গামারীঢালা বাজারে। পরে স্থানীয় এক নারীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে জেলা সদরের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভিকটিমের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নেয়া হয় পুলিশ হেফাজতে।
খাগড়াছড়ি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার রনজিৎ সরকার জানান, ভিকটিম কিশোরীকে বুধবার সকালে সদর হাসপাতালে আনা হলে তাকে সব ধরণের সহযোগিতা দেয়া হয়। পরে আইনি সহায়তার জন্য সদর থানা হেফাজতে পাঠানো হয়। আটককৃতরা হলেন,আমেনা বেগম,তার মা সেতেরা বেগম পুটি,শামিমা আক্তার,ইসমাইল হোসেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কিশোরী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
COMMENTS