খাগড়াছড়িতে প্রকৃতিনির্ভর সমাধান বিস্তার ও সক্ষমতা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শেয়ার করুন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রামে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং জেন্ডার সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণে প্রকৃতিনির্ভর সমাধান বিস্তারে সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (এসপিএ)-এর সঙ্গে বহু-পক্ষীয় অংশীদারিত্ব জোরদার করতে এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“পার্বত্য চট্টগ্রামে সহনশীলতা নিশ্চিতকরণে জেন্ডার সংবেদনশীল প্রকৃতিনির্ভর সমাধান প্রসার” শীর্ষক এ কর্মশালাটি বৃহস্পতিবার মিলনপুরে অবস্থিত হিলটপ গেস্ট হাউজের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ওম্কার বিশ্বাস,পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মালেক,বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রিগ্যান গুপ্ত,বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ মারমা,হেলভেটাস বাংলাদেশ প্রকল্পের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর দীপ্তিময় চাকমা,তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা’র ফিল্ড অফিসার সাহ্লাপ্রু মারমাসহ তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা:র আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালাটি আয়োজন করে তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা। কর্মসূচিতে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত রয়েছে হেলভেটাস বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (আইসিমোড)। কর্মশালায় প্রকৃতিনির্ভর সমাধানের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর টেকসই জীবিকায়ন নিশ্চিত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিশেষভাবে নারী, যুবক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জেন্ডার ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি-সংবেদনশীল প্রকৃতিনির্ভর সমাধান বাস্ত বায়নের কৌশল তুলে ধরা হয়।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগোলিক ও সামাজিক বাস্তবতা বিবেচনায় প্রকৃতিনির্ভর সমাধান শুধু পরিবেশ রক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আয়ের সুযোগ সৃষ্টি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা অর্জনের একটি কার্যকর মাধ্যম। কৃষি জমিতে যদি কিছু সমস্যাগুলো খেয়াল করতে পারি,তাহলে অনেক কিছু করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (এসপিএ)-এর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বহু-পক্ষীয় অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, উন্নয়নকর্মী, এসপিএ সদস্য, স্থানীয় সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন অংশীজন অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ করণীয় এবং যৌথভাবে কাজ করার সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। কর্মশালার শেষাংশে পার্বত্য চট্টগ্রামে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রকৃতিনির্ভর সমাধান বিস্তারে সমন্বিত উদ্যোগ জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।