খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ির ৩ উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

২ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হল রুমে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জোনায়েদ কবির সোহাগ। একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী চাওয়ায় লটারির মাধ্যমে প্রতীক নির্ধারণ করা ।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, নজরুল ইসলাম পেয়েছেন (লাঙ্গল), জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা (কৈ মাছ), সুশীল জীবন ত্রিপুরা (টেলিফোন), সন্তোষিত চাকমা (দোয়াত কলম) প্রতীক ও আক্তার হোসেন পেয়েছেন (মোটরসাইকেল) প্রতীক। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আসাদ উল্লাহ (বই), ক্যাউচিং মারমা (তালা), মো. আবু হানিফ (টিয়াপাখি), মো. এরশাদ হোসেন (চশমা) ও শাহাবুদ্দিন সরকার পেয়েছেন (টিউবওয়েল) প্রতীক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কল্যাণী ত্রিপুরা কলস, নিউসা মগ (প্রজাপতি) ও নিপু ত্রিপুরা (ফুটবল) প্রতীক পেয়েছেন।

দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কাশেম (আনারস) ও ইউপিডিএফ প্রসীত সমর্থিত প্রার্থী ধর্মজ্যোতি চাকমা (মোটরসাইকেল), ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোস্তফা কামাল মিন্টু (টিউবওয়েল), সোলাইমান (টিয়াপাখি ) ও সুসময় চাকমা (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সীমা দেওয়ান (কলসী) ও বিলকিছ বেগম পেয়েছেন (প্রজাপতি) প্রতীক।

পানছড়িতে চেয়ারম্যান পদে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক সমর্থিত প্রার্থী মিটন চাকমা পেয়েছেন (আনারস) প্রতীক ও ইউপিডিএফ প্রসীত সমর্থিত চন্দ দেব চাকমা পেয়েছেন (কাপ-পিরিচ)। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে লোকমান হোসেন (বৈদ্যুতিক বাল্ব), জয়নাথ দেব (তালা), সৈকত চাকমা (টিউবওয়েল) ও কিরণ ত্রিপুরা পেয়েছেন (চশমা) প্রতীক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিতা ত্রিপুরা (ফুটবল) ও সুজাতা চাকমা পেয়েছেন (কলস) প্রতীক।

প্রার্থীদের নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালানোর অনুরোধ জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে প্রতিটি উপজেলাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমন্বয়ে মনিটরিং করা হবে জানিয়েছেন তিনি।