খাগড়াছড়ি পুলিশ’র উদ্যোগে “বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা”
আরিফুল ইসলাম মহিন: খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ এর উদ্যোগে “বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা” দেওয়া হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ২ ঘটিকায় খাগড়াছড়ি অফিসার্স মেসে পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল এর সভাপতিত্বে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সময় হল ১৯৭১ সাল। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বেশ কয়েকজন এসপি সহ প্রায় সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্য বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রামে জীবনদান করেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস হতেই অত্র প্রদেশের পুলিশ বাহিনীর উপর কর্তৃত্ব হারিয়েছিল পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার। স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে পুলিশের বীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
আরো বলেন,পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। পুলিশের বীর সদস্যরা ২৫শে মার্চ ১৯৭১ তারিখে ঢাকার রাজারবাগের পুলিশ লাইন্সে ২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বাতিল ৩০৩ রাইফেল দিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এই সশস্ত্র প্রতিরোধটিই বাঙ্গালীদের কাছে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরুর বার্তা পৌছে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের এই সদস্যরা ৯ মাস জুড়ে দেশব্যাপী গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন এবং পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১২৬২ জন শহীদ পুলিশ সদস্যের তালিকা স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের এই অবদানকে স্মরণ করেই এই আয়োজন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বসবাসরত ৭ বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারবর্গের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় কৃতজ্ঞতাস্বরূপ বিশেষ সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন এবং তাদের যেকোনো আইনী সহায়তায় খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সর্বদা পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন।
আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন মাহমুদা বেগম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মাহমুদা বেগম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শেখ বিল্লাল হোসেন সহ খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।