খাগড়াছড়িতে নৌকার সমর্থনে কংজরী চৌধুরী’র প্রচারণা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে খাগড়াছড়ি শহরে গনসংযোগের মধ্য দিয়ে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় নামলেন খাগড়াছড়ি জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে খাগড়াছড়ি বাজারের অলি-গলি ছাড়িয়ে শহরতলীতে গনসংযোগ করেন কংজরী চৌধুরী। এসময় তিনি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত করার আহবান জানান। তার এ গনসংযোগকালে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে নৌকাময় হয়ে উঠে খাগড়াছড়ি জেলা শহর।
এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরা, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেত্রী কালিন্দী রানী চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য শতরুপা চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টিকো চাকমা, জেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক রোকন মিয়া মহালছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জিয়াউর রহমান, মহালছড়ি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হামিদুর রহমানসহ জেলা-উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মী এ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে।
পরে আদালত সড়কে দলীয় নেতাকর্মীদের নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে কংজরী চৌধুরী বলেন, নৌকা জিতলে শেখ হাসিনা জিতবে। বাংলাদেশ জিতবে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি জিতবে। আর নৌকা হারলে স্বাদীনতার বিপক্ষ শক্তি দেশকে জঙ্গীবাদের আস্থায় পরিণত করবে। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির প্রার্থী। সব বিভেদের উর্ধ্বে উঠে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে কংজরী চৌধুরী বলেন, আমরা ৩০ ডিসেম্বর নৌকার জয় নিয়েই ঘরে ফিরবো।
আড়াই ঘন্টা ব্যাপী গণসংযোগকালে জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল চাকমার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কয়েক’শ নেতাকর্মীর নৌকা-নৌকা শ্লোগানে নৌকাময় হয়ে উঠে খাগড়াছড়ি শহর। স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার শহরে পরিনত হয় খাগড়াছড়ি জেলা শহর। এসময় সাধারন মানুষও নৌকার সমর্থনে অনুষ্ঠিত শ্লোগানে মিশে ঐকাকার হয়ে যায়।